Site icon Health News

“ভারত-বাংলাদেশের মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি”

জিনগত কারণে ভারত-বাংলাদেশের মানুষ বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে বলে জানালেন ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক দেবী প্রসাদ শেঠী।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে ইমপেরিয়াল হসপিটালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্য প্রায় একই। একারণেই এখানকার মানুষ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। ইংল্যান্ড বা ইউরোপের লোকজনের হৃদরোগ হয় অবসরকালীন সময়ে অথবা ষাটোর্ধ বয়স হলে।

“কিন্তু ভারত-বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যেও এ রোগ দেখা দেয়, এর প্রধান কারণ জিনগত। এখানকার মানুষের জীবনধারা, খারাপ খাবার গ্রহণ, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, ধুমপান প্রি মেচিউর হার্ট অ্যাটাকের কারণ।”

এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষ ব্যায়াম করেন না উল্লেখ করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী বলেন, “এটা একটা ঝুঁকির বিষয়। এসব কারণে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ভারত-বাংলাদেশে হৃদরোগের হার বেশি।”

খ্যাতনামা এ চিকিৎসক ভারতীয় ও বাংলাদেশীদের ৩০ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিত ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও সিটি স্ক্যান করানো দরকার মন্তব্য করে বলেন, এক-দুই বছরে অন্তত এসব পরীক্ষা করানো দরকার।

দেবী শেঠী বলেন, “আমরা যখন অসুস্থ হই তখনই শুধু চিকিৎসকের কাছে যাই, এটা বড় সমস্যা। চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং দেখতে হবে নিজে কতটা সুস্থ আছি।”

ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবার মান প্রায় একই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি কোনো পার্থক্য দেখি না।”

তারপরও কেন বাংলাদেশের রোগীরা ভারতমুখী জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতে একই ধরনের অনেক হাসপাতাল রয়েছে, অনেক বিকল্প রয়েছে, রোগীরা সে বিকল্প খোঁজে। আপনাদের এখানে অনেক সুযোগ নেই, সেকারণে যাচ্ছে।”

এর আগে এই চিকিৎসক ৩৭৫ শয্যার ইমপেরিয়াল হসপিটালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দেবী শেঠী পরিচালিত ভারতের নারায়না হেলথের সঙ্গে ইমপেরিয়াল হসপিটাল যৌথভাবে এ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারটি পরিচালনা করবে।

Exit mobile version