Site icon Health News

‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকে রাত জেগে মোবাইলের ব্যবহার নয়’

ঘুমের আগে মোবাইলের ব্যবহার যে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় তার আর অজানা নয়। তবে নতুন গবেষণা বলছে, রাত ১০ টার পরে মোবাইলের ব্যবহারে বাড়তে পারে ডিপ্রেসন, বাইপোলার ডিজঅর্ডার (আচরণগত সমস্যা) ও নিউরোটিসিজমের মতো মানসিক সমস্যাগুলো।

৩৭-৭৩ বছর বয়সী ৯১ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ওপর পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানচেট সাইকিয়াট্রি সাময়িকীতে।

এর আগের এক গবেষণায় দেখা যায়, রাত জেগে কাজ করায় কর্মীদের ২৪ ঘন্টার বডি সাইকেল যা সারকাডিয়ান রিদম নামে পরিচিত তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক এ গবেষণাতেও একই ফলাফল দেখতে পান গবেষকরা।

অংশগ্রহণকারীদের কব্জিতে বিশেষ এক ধরণের ডিভাইস লাগিয়ে দেওয়া হয়। সাতদিন ধরে লাগিয়ে রাখা এ ডিভাইসের মাধ্যমে সারাদিনের কোন সময়টাতে তাদের সারকাডিয়ান রিদিমে ব্যাঘাত ঘটেছে সে তথ্য জানতে পারেন গবেষকরা।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ২৫ জনে একজনের অভ্যাস ছিলো অস্বাভাবিক এবং তারা দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি সক্রিয় ছিলো।

এদের মধ্যে ১১ শতাংশের ছিলো বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং ছয় শতাংশের ছিলো ডিপ্রেসনের সম্ভাবনা। পাশাপাশি তারা ছিলো অসুখী ও একাকী।

প্রধান গবেষক ও গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্যানিয়েল স্মিথ বলেন, একাকীত্বে ভোগা লোকজন ঘুমের সমস্যাতেও ভুগছিলেন। এরা রাত জেগে মোবাইলে গেমস খেলা বা চা বানানোর মতো কাজে ব্যস্ত রাখত নিজেকে।

এদের সংখ্যা কম হলেও তা হেলাফেলা করার মতো নয় বলেও স্মিথ জানান।

মানসিক এসব সমস্যা মোকাবিলায় রাত ১০টা পর মোবাইল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ভালো ঘুমের জন্য সারাদিনে সক্রিয় থাকা ও রাতের বেলা কাজ বাদ দিয়ে দেওয়াটা জরুরি বলেও উল্লেখ করে স্মিথ।

তবে গবেষকরা মাত্র এক সপ্তাহ ধরে পর্যযবেক্ষণ করেছেন এবং অংশগ্রহণকারীরা ছিলো মধ্যবয়সী বা এর চেয়েও বেশি বয়সের।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট.কম.ইউকে

Exit mobile version