Site icon Health News

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যেন পিকনিক না হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের যথাযথ ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

“এটা দিয়ে যেন পিকনিক করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে,” বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে এমসিআরএএইচ-অপারেশনাল প্ল্যান এর আওতায় সংগৃহীত ‘অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর সভা’য় এই নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধান অতিথি।

জন্ম নিয়ন্ত্রণে এক সময় ধর্মান্ধদের বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে নাসিম বলেন, “এখন সবাই বোঝে, ছোট পরিবার সুখী পরিবার। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ মানে এই নয় যে জনসংখ্যা অতি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আবার দেশে বৃদ্ধ লোক বাড়বে, কিন্তু কাজের লোক থাকবে না।”

স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে যেখানে আমাদের প্রয়োজনের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমদানি করতে হত, বর্তমানে একশর বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ২৯’শ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে। তবে এ্যানেসথেশিস্টের অভাবে আটটি কেন্দ্রে প্রসব সেবা বন্ধ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের প্রতিকী চাবি ৫ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকের হাতে তুলে দেন। জেলাগুলো হল-গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও কুমিল্লা।

অধিদপ্তরে এদিন আরেক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী প্রসূতি ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত হট লাইন উদ্বোধন করেন।

এখন থেকে ১৬৭৬৭ এই হট নম্বরে কল করে প্রসূতি ও মাতৃ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন মায়েরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অধিদপ্তরের পরিচালক রমজান আলী, এমসিআরএইইচ’র পরিচালক ডা. মো. শরিফ।

Exit mobile version