চট্টগ্রামের হালিশহরে জন্ডিসের কারণ পানি বলে চিহ্নিত করলেও তা ওয়াসার পানি কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
গত মে মাসে বন্দর নগরীর হালিশহর এলাকায় ডায়রিয়া ও জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখনও আইইডিসিআরের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে পানি এবং আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য।
এর মধ্যে গত ১০ দিনে আবার হালিশহর এলাকায় জন্ডিসে তিনজন মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের পর বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, “পানিবাহিত কারণেই এই জন্ডিস হয়েছে। খোলা খাবার, জুস থেকে হতে পারে।”
পানিতে কী সমস্যা ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তা ওয়াসা বলতে পারবে।”
গত মে মাসে ডায়রিয়া ও জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিল, তাদের পানিতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ওইসব এলাকার পানির রিজার্ভ ট্যাংকে জীবাণু থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দুই মাস আগে পরীক্ষায় ওয়াসার পানিতে সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল কি না- সাংবাদিকরা তা জানতে চান আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে।
তারা ‘সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া বলতে পারবেন না’ বলে সাংবাদিকদের জানান।
সিভিল সার্জন জানান, এ পর্যন্ত হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে ১৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।