দেশের সাত ওষুধ কোম্পানির উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সোমবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রোববার দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাজারে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুণ। অভিযোগ উঠেছে, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে চড়া দামে বিক্রি করছে এসব জিনিস একটি চক্র।
গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল্য হঠাৎ বেড়ে যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে হ্যান্ডসেট বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা বলছে, কোম্পানিগুলো বলছে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ডসেটের কাঁচামাল মজুদ আছে।অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের একসঙ্গে কোনো ব্যক্তির কাছে একটির বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করতে নিষেধ করেন। এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেসার্স এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড হ্যান্ডিরাব সল্যুশন ৫০ মিলিলিটার বিক্রি করবে ৪০, ১০০ মিলিলিটার বিক্রি করবে ৫২ টাকায় আর ২০০ মিলিলিটার করবে ১০০ টাকায়।