রমজানে ইফতারে অন্যতম প্রধান খাবার হল মুড়ি। আর সেই মুড়ি কিনতে গিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময়ই ধবধবে সাদা মুড়িই খুঁজি। এই সাদার আড়ালে কী, সেটা কি ভেবে দেখছি?
সারা বছরের তুলনায় রোজার মাসে মুড়ির চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায় বলে অসাধু ব্যবসায়ীরাও তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ক্রেতাদের কাছে মুড়িকে ‘আকর্ষণীয়’ করতে কারখানা মালিকরা ভাজার সময় চালের সঙ্গে মিশিয়ে দেন ইউরিয়া, সোডিয়াম কার্বনেট ও সালফার। এতে মুড়ি হয় ধবধবে সাদা।
এই মুড়িতে সমস্যা কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরিয়া দিয়ে ভাজা এই মুড়ি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশনের অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী হেলথ নিউজকে বলেন, এসব রাসায়নিক খাবারে ব্যবহারের কারণে মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
“এটি খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে স্টমাকের ক্ষতি করে। রক্তে মিশে গিয়ে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে।”
এই মুড়ি চেনার উপায় কী?
বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুননাহার নাহিদ হেলথ নিউজকে বলেন, মুড়ির চাল সাধারণত দুবার সিদ্ধ করা হয়। আর এ কারণে মুড়ির চাল লালচে হয়।
“তাই লালচে রঙের মুড়ি দেখলে বুঝতে হবে এতে রাসায়নিক নেই। আর যে মুড়ি চকচকে দেখায় তা রাসায়নিক মেশানো।”
তাই কেনার আগে সচেতন হন; আর জানেনই তো চকচক করলেই সোনা হয় না!