Site icon Health News

স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন কমাবে গর্ভকালীন জটিলতা

গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালীন নানা জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক গিতা মিশ্র বলেন, “গর্ভধারণের আগে নারীদের বডি মাস ইনডেক্স কম থাকলে খিঁচুনি, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসব ও মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি কমে যায়।

“গর্ভধারণের আগে কায়িক শ্রমের অভ্যাস থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। নারীদের খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, বিভিন্ন ধরনের ডাল ও বাদাম থাকলেও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার কমে।”

তবে নারীরা তাদের দৈনিক প্রয়োজনের মাত্র ১০ শতাংশ ফল ও সবজি খায় বলে নারী স্বাস্থ্য নিয়ে পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় জানা গেছে।

সাধারণত গর্ভাবস্থার তিনটি ধাপের দ্বিতীয় ধাপে নারীরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। ন্যাশনাল চাইল্ডবার্থ ট্রাস্টের হিসেব অনুযায়ী, আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল না, এমন নারীদের প্রায় ৩০ শতাংশের এ সময় এসে এ রোগ হতে পারে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভস্থ শিশুর ওজন সাধারণের চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে সন্তান প্রসবে সমস্যা, নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান প্রসবের ঘটনাও ঘটতে পারে।

গর্ভকালীন এ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সাধারণ ডায়াবেটিসের মতোই, রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

গবেষকরা বলেন, সন্তান ধারণের চেষ্টার সময় অধিকাংশ নারীই ধূমপান ও মদপান বাদ দিলেও সবজি ও ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর তেমন কোনো চেষ্টা তাদের মধ্যে দেখা যায় না। এমনকি অন্য নারীদের তুলনায় শারীরিক পরিশ্রমও তারা কমিয়ে দেয়।

এ ধরনের সমস্যার মোকাবেলায় নারীদের আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন অধ্যাপক মিশ্র।

সূত্র: ইনডিপেন্টেড

Exit mobile version