অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৪ | আপডেটেড ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৪

thermometr

অসুস্থ হলে নিজেই নিজের ডাক্তারি করে খেয়ে নিলাম অ্যান্টিবায়োটিক, তা আর চলবে না।

এখন থেকে ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে হলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন লাগবে।

একটি রিট আবেদনে এমন নির্দেশনা এসেছে উচ্চ আদালত থেকে।

বৃহস্পতিবার সরকারকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

একদিন আগে এই রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

আদেশের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “এই আদেশের পরে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বাংলাদেশে আর হতে পারে না।”

আদালতের আদেশে যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতে হবে এই নির্দেশের আলোকে।

সেই সঙ্গে একটি রুলও দিয়েছে আদালত। যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’সহ দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেছিলেন সুমন।

তিনি বলেন, “যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা সে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে পোল্ট্রিকে। যে কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে। আমি তো মনে করি খ্যাদ্যের ব্যাপারে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা উচিৎ।

“গত বছর বিএসএমইউতে ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মারা গেছেন ৪০০ জন। তারপরে আর কী লাগে? এখন, সিভিল সার্জন ও ডিসি সাহেবরা কার্যকর ব্যবস্থা যদি নেন, তাহলে পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচানো যাবে।”

গত ২২ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফ ‘সুপারবাগস লিঙ্কড টু এইট আউট অব টেন ডেথস ইন বাংলাদেশ আইসিইউ’স’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের আইসিইউতে ১০ মৃত্যুর মধ্যে ৮টি মৃত্যুর জন্যই দায়ী সুপারবাগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। কারণ এসব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া এবং দোকান থেকে অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে রোগী ব্যবহার করে। আবার মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ বেশি লাভের জন্য পশুর ওজন বাড়াতেও প্রয়োগ করা হয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধে সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা জনসচেতনতা তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন আদালতের আদেশের পর সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3