করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর কি হয়!

সেরীন ফেরদৌস, স্বাস্থ্যকর্মী কানাডা, ফেসবুক টাইমলাইন থেকে, হেলথ নিউজ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০৩ | আপডেটেড ৩১ মার্চ ২০২০, ১২:০৩

serin

যে-কোনো ভাইরাস, করোনাই শুধু নয়, কোনো জীবিত প্রাণীর শরীরের বাইরে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।

করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে গিয়ে বাসা বাঁধে ও খুব দ্রুত সংখ্যায় বাড়ে। আমাদের ফুসফুস ছোট ছোট বলের মতো আকৃতির বস্তু দিয়ে (অ্যালভিওলাই) তৈরি যেগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে ও চুপসে যায়।

ফুসফুসের এই ছোট্ট বলগুলো আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করে। প্রতিবার নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেনে পূর্ণ হয় এবং বলগুলোর পাতলা পর্দা ভেদ করে সেই অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে। আর রক্তে তৈরি হওয়া বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড একই পদ্ধতিতে বাইরে আসে। শরীরের প্রতিটি কোষ এই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে।

ভাইরাসটি যদি আপনার শরীরে ঢোকে, তবে প্রথমে শ্বাসনালী ও পরে ফুসফুসে লটকে পরবে। ভাইরাসটি ফুসফুসের ছোট্ট ছোট্ট বলের মতো জায়গায় গিয়ে আরামসে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এতে ফুসফুসের বলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।

ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর গড়ে ৫ দিন পর্যন্ত সময় নেয় ও তারপর ব্যক্তির উপসর্গ- অর্থাৎ, ক্লান্তি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদির লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।

অপরদিকে শরীর (ইমিউন সিস্টেম) এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে প্রাণপণে চেষ্টা করে। আমাদের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম ক্রমাগত প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি বা যোদ্ধা সেল তৈরি করতে থাকে ভাইরাসকে পরাস্ত করতে।

ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতি অপেক্ষা আপনার ইমিউন সেলের বংশবৃদ্ধির গতি বেশি হলে আপনি বেঁচে গেলেন। আর দুর্বল ইমিউন সিস্টেম হলে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি বেড়ে যাবে ও আপনার ফুসফুস ক্রমান্বয়ে পরাস্ত হতে থাকবে ভাইরাসের হাতে।

ফুসফুস পরাস্ত হতে থাকলে আস্তে আস্তে শরীরে প্রয়োজনীয় অস্কিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং রোগী অস্কিজেনের জ্ন্য একসময় হাঁসফাঁস করতে থাকে। পরবর্তীতে শরীরের অন্যান্য অর্গানগুলো (কিডনি, হার্ট, যকৃত, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি) অক্সিজেনের অভাবে একে একে অকেজো হতে শুরু করে।

নানা অসুখের কারণে আগেভাগেই কারো অর্গানগুলো দুর্বল হয়ে থাকলে, তার জন্য ভাইরাসটির আক্রমণের চাপ বহন করা কঠিন হয়ে পরে। তখন ভাইরাসটি রক্তে ছড়িয়ে পরে। এইবেলা তার জন্য হাসপাতালের সাহায্য বা কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন-এর বন্দোবস্ত করার জরুরি দরকার হয়ে পরে।

এখন পরযন্ত ভাইরাসটি দমন করার কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই নিজের ইমিউন সিস্টেমই ভরসা! সেটি শক্তিশালী হলে ভাইরাসগুলো যুদ্ধে হেরে গিয়ে মারা যাবে। জ্বর-কাশি কিছুদিন পর আপনা আপনি ভালো হয়ে যাবে, বাসায় বসেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৮০% আক্রান্ত মানুষ ঘরে বসেই ভালো হয়ে যায়, হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয় না।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৮ জনের মৃত্যু

৫১ বছরে ৯৯ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে

ডেঙ্গু: একদিনে ভর্তি ১৮১৮ জন, মৃত্যু ৬

বিএসএমএমইউতে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম

একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৪৩১ ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গুতে রাজধানীতে মৃত্যু বেশি

দূষিত বায়ুতে দিল্লি

‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকে রাত জেগে মোবাইলের ব্যবহার নয়’

বার্ধক্য ডেকে আনে যেসব খাবার

দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু সিসা দূষণের শিকার

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ জনের

অনির্ণেয় রোগ নির্ণয় করেন যে চিকিৎসক

বাসাবাড়িতে ছিটানো হবে লার্ভিসাইড বিটিআই

ডেঙ্গুতে চিকিৎসকের মৃত্যু

ডেঙ্গু: ৬২% রোগী ঢাকার বাইরের

গর্ভ ভাড়া দিয়ে মা হন এই তরুণী

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ৬০ হাজার ছাড়াল

ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের সব হিসাব ছাড়াল

থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ

দেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ কবে?

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3