খুলনায় সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পাচার থামেনি

এম. রহমান, খুলনা প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৯ | আপডেটেড ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০৯

khulna-m-hospital

খুলনার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ চোর চক্রের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। র‌্যাব ও পুলিশের কয়েকদফা অভিযানের পর কৌশল পাল্টে ফের সক্রিয় চক্রটি।

ওষুধ পাচারে জড়িতরা মাঝেমধ্যে আটক হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় তারা আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে বরাদ্দ করা সরকারি ওষুধ রোগীদের ভাগ্যে জোটে না।

অভিযোগ রয়েছে, খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের ফার্মেসিতে দু’দফায় ১২ লাখ টাকার ওষুধ চুরি হলেও অভিযুক্ত চার ফার্মাসিস্টই রয়েছেন বহাল।

হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধ লেখেন না। এই ওষুধ নার্স ও কর্মচারীদের হাত ঘুরে বাইরে পাচার হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর আত্মীয় কামরুন্নাহার শিরিন হেলথ নিউজকে বলেন, “রোগী ভর্তির পর শুরুতেই ‘ওষুধ নেই’ বলে শর্ট স্লিপে বাইরে থেকে ওষুধ আনতে বলা হয়। প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট গ্রুপের ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ থাকলেও ওই স্লিপে একই গ্রুপের অন্য ওষুধের নাম লেখা হয়।”

যেহেতু হাসপাতালেই ওষুধ রয়েছে, তা নার্স-কর্মচারীরা বাইরে থেকে কেনা ওষুধ ব্যবহার না করে কৌশলে আবার ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিছু দিন আগে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় ওষুধ নিয়ে নয়-ছয়ের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। এসময় বহির্বিভাগের একজন ফ্রি সার্ভিস কর্মীর নিকট থেকে প্রায় দেড় হাজার টাকার ওষুধ জব্দ হয়।

এর আগে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের একজন নার্সের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে কয়েক হাজার টাকার সরকারি ওষুধ উদ্ধার হয়েছিল।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মোর্শেদ হেলথ নিউজকে বলেন, “আমি এই হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ওষুধ চুরি বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর সাথে জড়িতদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে শতভাগ সফল হতে পারেনি।”

হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধের বাইরে শর্ট স্লিপে অন্য ওষুধ না লেখার জন্য কয়েক দফা চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের (শিক্ষানবিস) নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে আবু নাসের হাসপাতালে ওষুধ চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরও অভিযুক্তরা এখনও বহাল রয়েছে কাজে।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হাসপাতালের স্টোর থেকে বের করা দু’বস্তায় ২০ হাজার পিস সিপ্রো ফ্লক্সাসিন ৫০০ এমজি, ১৭ হাজার পিস এসওমেপ্রাজল ২০ এমজি ওষুধসহ ষ্টোর কিপার ফার্মাসিষ্ট দেবপ্রসাদ রায় ও তার শ্যালক দিপংকর সানা মুজগুন্নি থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে খুলনার হেরাজ মাকের্টের ইমা মেডিক্যাল হল থেকে শেখ রকিবুল আবেদিন নামের আরেক সহযোগিকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় ফার্মাসিস্ট দেবপ্রসাদ রায় ও সুশাংশুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফের তারা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। চুরি হওয়া সকল ওষুধও উদ্ধার হয়নি।

হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স মেহেরুন্নেসা বেগম বলেন, “সবাই কম বেশি ওষুধ বাণিজ্যের সাথে জড়িত। যারা এই সব টাকা নেয় না তারাও নিজেদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ইচ্ছামত বাড়ি নিয়ে যায়, যার কোনো হিসাব থাকে না।”

আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী বলেন, ওষুধ চুরি বন্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে অপরাধীদের বিষয়ে মহাপরিচালক দপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার রাখে, তাই তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করার থাকে না।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3