খুলনা মেডিকেলে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসা সেবায় মান নিয়ে প্রশ্ন

এম রহমান, খুলনা প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৯ | আপডেটেড ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০৯

khulna-m-hospital

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সময়মতো হাজির না হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে।

সদ্য এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসকদের প্রশিক্ষিত করে তোলার অংশ হিসেবে হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসেবে যুক্ত করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।

অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে বেশি সময় দেওয়ায় শিক্ষানবিশদের দিয়েই চিকিৎসকদের কাজ চালানো হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস, শিশু বিভাগ, বার্ন ইউনিটসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন।

ওয়ার্ডগুলোতে সার্বক্ষণিক একজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেরিতে আসেন, সন্ধ্যার পর থেকে সহকারী রেজিস্ট্রাররা হাসপাতালে থাকেন না।

রোগীরা জানায়, কম বয়সী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সবসময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ঘিরে থাকেন। তাদের হাতের কলম, ব্যবহৃত প্যাড, দুপুরের খাবার সব কিছুই ওষুধ কোম্পানির দেওয়া। এসব সুবিধা নিয়ে ওই কোম্পানির ওষুধই লিখে থাকেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিনেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক ফিজিসিয়ান, আবাসিক সার্জনের পদই সৃষ্টি করা হয়নি। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের অধিকাংশ পদই শূন্য। ফলে দুই ব্যাচের ১৩০জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভাগাভাগি করে ওয়ার্ডে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অমর কান্তি হেলথ নিউজকে বলেন, “কোনো কারণে চিকিৎসক অনুপস্থিত বা ছুটিতে থাকলে তা অনেক সময় ইউনিটের অন্যরা জানতে পারেন না। ফলে পরিকল্পিতভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।”

এছাড়া যে সব ইউনিটে রোগী ভর্তির তারিখ থাকে না, সে ইউনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকদেরও সঠিক নিয়মে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ রয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ্জামান হেলথ নিউজকে বলেন, “দুপুরের পরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রাইভেট প্র্যাকটিসে। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক অথবা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন তারা। ফলে পরদিন সকালে সময়মতো হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারেন না।

“বাড়তি অর্থ আয়ের পথ হিসেবে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ঝুঁকে পড়া, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অতিমাত্রায় রাজনীতিকীকরণের প্রভাব এজন্য দায়ী।”

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়শনের (বিএমএ) নেতা ডা. বাহারুল আলম হেলথ নিউজকে বলেন, এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নৈতিকতাই একটা বড় প্রশ্ন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই খুদা হেলথ নিউজকে বলেন, “বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সময়মতো হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান চালু হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।”

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ হেলথ নিউজের জিজ্ঞাসায় বলেন, “বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেরি করে রাউন্ডে আসায় রোগীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনেকে মেডিকেল কলেজে ক্লাস নিয়ে থাকেন বলে তাদেরকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

“কিন্তু অনেকেই নির্ধারিত সময়ের পর হাসপাতালে আসেন। আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। খুলনা মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল আহাদ হেলথ নিউজকে বলেন, “আলোচনা সাপেক্ষে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ডিউটি রোস্টার ও হাজিরা খাতার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3