“ডেঙ্গুতে মৃত্যু ‘সবচেয়ে কম’ বাংলাদেশে”

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:০৯ | আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:০৯

Health-Department-edit

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ‘সবচেয়ে কম’ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। 

ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে বুধবার সাংবাদিকদের জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) আয়োজিত এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছর বিশ্বের ১২৮টি দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এর মধ্যে বাংলাদেশে মৃত্যু হার সবচেয়ে কম।”

“আমরা একটি মৃত্যুও চাই না। তারপরও আমি মৃত্যু হার গণনা করে দেখেছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র দশমিক শূন্য শূন্য ২ শতাংশ মারা গেছে।

“যদি আমরা বহিঃবিভাগ ও প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদেরও এই গণনায় ধরি তাহলে মৃত্যু হার আরও কমে আসবে।”

দেশের হাসপাতালগুলোতে এরমধ্যে ৭৭ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১৯১ জন। এরমধ্যে ১০১টি ‘ডেথ রিভিউ’ শেষে ৬০ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। 

অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে যেন কেউ মারা না যান।”

এ বছর ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ফিলিপিন্সে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৩৩২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এ মহামারীতে এরইমধ্যে এক হাজার ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

থাইল্যান্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার। মারা গেছেন ৭০ জন। আর মালয়েশিয়ায় ৮২ হাজার ২৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশটিতে এরই মাঝে ১৩১ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। 

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে আসা রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু ধরা পড়ার সংখ্যা বেশি।

“জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের ১০ থেকে ২০ শতাংশের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা নিয়ে অনেকে একটু বেশিই বলে ফেলেছেন। অনেক রোগীই ছিল মৌসুমী জ্বরে আক্রান্ত। ”

রোগীর সংখ্যা বাড়লেও জটিলতা ও মৃত্যুর হার কম বলে দাবি করেন তিনি।

গত দশ বছরে বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেই এখন এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্ত এবং রোগীর চিকিৎসা সেবায় মৃত্যু ঝুঁকি ১ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা সম্ভব।

ঢাকায় এডিস ইজিপ্টি ডেঙ্গু ছড়ালেও গ্রামে তা ছড়াচ্ছে এইডিস অ্যালবোপিকটাস।

আইইডিসিআর বলছে, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে জ্বর হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা বাইরে কোথাও ভ্রমণ করেছেন।

অধ্যাপক ফ্লোরা সাংবাদিকদের কাছে বরিশালে তাদের গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন। এতে দেখা যায়, এই জেলার রোগীরা এইডিস অ্যালবোপিকটাসের কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। 

তিনি বলেন, “ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া এই এলাকায় আমরা এডিস ইজিপ্টি মশা খুঁজে পাইনি।”

এসব এলাকা থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পূর্ণাঙ্গ মশার জন্ম দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

“৭৫৫টি পূর্ণাঙ্গ মশার মধ্যে ১৪টি ছিল এইডিস প্রজাতির, তাদের ৭টি অ্যালবোপিকটাস এবং বাকিগুলো ছিল অন্য প্রজাতির মশা। এরমধ্যে কোনোটাই ইজিপ্টি প্রজাতির ছিল না।”

তবে কুষ্টিয়ার এক গ্রামে অ্যালবোপিকটাসের সঙ্গে ইজিপ্টি মশাও পাওয়া গেছে বলে জানান ফ্লোরা।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গু: আরো ১০ মৃত্যু

ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে ভাবছে সরকার

যে দুই কারণে প্রাণঘাতি হচ্ছে ডেঙ্গু

তাপদাহ ও দূষণে হৃদরোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ হাজার

ডেঙ্গুতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

মশা নিধনে ‘র‌্যাট’ নামছে

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ২০০

ডেঙ্গু মহামারীর পর্যায়ে যায়নি

কাজে ফিরছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা

শুকনো ফলের বাজার দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু: জামিন পেলেন ২ চিকিৎসক

চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

জটিল রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ল

হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ২০ হাজার ছাড়াল

দুদিন চেম্বার, অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখবেন গাইনি চিকিৎসকরা

ডিএনসিসির স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ হল

ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট নিতে হয় কখন?

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3