দেশের অর্ধেকের বেশি নারী ক্যান্সারের ঝুঁকিতে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:১০ | আপডেটেড ৩ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১০

liver

১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ৫ কোটি ৮৭ লাখ নারী কোনো না কোনোভাবে ক্যান্সার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

‘ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুধু সারভাইক্যাল ক্যান্সারে (জরায়ু-মুখ) প্রতি বছর ১২ হাজার নারী আক্রান্ত হন এবং এদের মধ্যে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটে।

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ইহতেশামুল হক এক সমীক্ষা তুধে ধরে বলেন, দেশে নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেশি। এর পরই আছে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার।

নারীদের ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ স্তন ক্যান্সার, ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ জরায়ু ও জরায়ুমুখ এবং ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত।

পুরুষদের ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর, ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ মুখ গহ্বর এবং ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আব্বাসী বলেন, “দেশে নারীদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। দেশের প্রায় ৫ কোটি ৮৭ লাখ নারী কোনো না কোনোভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে।”

স্তন ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে ব্যাথাহীন রোগ বলে রোগীরা এটাকে শুরুতে গুরুত্ব দেন না বলেও অভিজ্ঞতা থেকে বলেন তিনি।

হেড-নেক ক্যান্সার সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা বলেন, অপুষ্টির কারণে অনেকের মুখে লাল বা সাদা ঘা হয়। এসব ঘা যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহের বেশি থাকে তাহলে সেগুলো থেকে ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া গলা ও জিহ্বা ক্যান্সার সৃষ্টিতে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভূমিকা রয়েছে।

ফুসফুস ক্যান্সারের বিষয়ে অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিনুল হক বলেন, ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ সবসময় অল্প অল্প জ্বর অনুভব করা। এছাড়া গলার স্বর পরিবর্তন হলে এবং তা যদি আদা, গরম পানি গার্গল করার পরেও না ঠিক হয় তাহলে সেটিও ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ।

এছাড়া বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকা এবং কাশির সঙ্গে শরীরের কোন স্থানে ব্যথা অনুভূত হওয়া ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ বলে জানান তিনি।

ডা. ইহতেশাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন আরও দুই লাখ মানুষ। প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান দেড় লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি ক্যান্সার সেন্টার থাকা প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশের এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কথাও বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “প্রতিটি সেন্টারে অন্তত দুটি রেডিওথেরাপি মেশিন থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে দেশে অন্তত তিনশটি রেডিওথেরাপি মেশিন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দেশে আছে মাত্র ১৭টি মেশিন আর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র ১৫০ জন।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসায় থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৪টি হাসপাতাল থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3