নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগ সারবে কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৫ জুন ২০১৮, ০১:০৬ | আপডেটেড ৫ জুন ২০১৮, ০১:০৬

Nabiganj-Hospital-1

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স; নয়জন চিকিৎসকের মধ্যে চারজনকে দিয়ে চলছে এই উপজেলা হাসপাতালের কাজ। তাদের মধ্যেও কাউকে না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের।

১৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা নিয়ে জেলার জনসংখ্যার দিক দিয়ে বৃহত্তম উপজেলা নবীগঞ্জ। এই উপজেলার লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার সীমান্তে নবীগঞ্জের অবস্থান। হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও বাহুবল উপজেলা, সুনামগঞ্জের দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলা, মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দাও এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া চললেও বাড়েনি জনবল। হাসপাতালের প্রায় ৪৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ শূন্য।

হাসপাতালে ময়লাযুক্ত বিছানা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করছেন চিকিৎসাধীন রোগীরা। হাসপাতালের জেনারেটরটি বিকল থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারেই সময় দেন বেশি। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগদের এসে ফিরে যেতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসক পদ ৯টি থাকলেও এর মধ্যে ৫টি শূন্য। যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চিকিৎসার জন্য ১ মাসের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ৪ মাসেও ফেরেননি। তার অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পালনকারী ডা. আব্দুস সামাদকে প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে থাকতে হয়।

জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মৌসুমী সাহা হাসপাতালে যোগ দিলেও ট্রেনিং ও বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে প্রায়ই ঢাকায় অবস্থান করেন।

হাসপাতালে অন্যান্য পদের মধ্যে ১৯ জন নার্সিং অফিসার পদ থাকলেও সেখানে কর্মরত রয়েছেন ১২ জন, ৭টি পদ এখনো শূন্য। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ২০ জনের মধ্যে ১৩ জন কর্মরত রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৩৬ জন জনবলের স্থলে আছেন ৯৩ জন। বাকি ৪৪টি পদ শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ২ জন ফার্মাসিস্টের জায়গায় ১ জনও না থাকায় ওষুধ বিতরণে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সামাদ বলেন, “সঙ্কট রয়েছে, তবে তা সমাধানের চেষ্টাও চলছে।”

এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বলেন তিনি।

বিষয়: ,

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3