পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্ভোগ ঘুচবে কবে?

এম. রহমান, খুলনা প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০৯ | আপডেটেড ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০৯

khulna-paikgasa

চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে খুলনার পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্রটির এই দুরবস্থা অবসান কবে ঘটবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখাও পাওয়া যাচ্ছে না।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে কয়েকটি স্থানে রাতে আলো জ্বলে না। ওয়ার্ডগুলোতে অধিকাংশ ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে। জেনারেটরটিও বিকল তিন বছরের বেশি সময় ধরে। নষ্ট হয়ে আছে এক্স-রে মেশিনটিও।

এখানে নেই রোগীদের জন্য নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা। টয়লেটগুলোও দেখা যায় নোংরা।

অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসকের অভাবে এরই মধ্যে হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে জেলা শহরে কিংবা স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায় পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের মনিরা খাতুন নামে এক নারীকে।

তিনি হেলথ নিউজকে বলেন, “এই হাসপাতালে কোনো মাইয়ে ডাক্তার নেই, এক-দুই ডো বিটা ডাক্তার আছে, তা’ তারে দেহাতি গেলি রাত হয়ে যাবেনে। খামাকা সময় নষ্ট না করে খুলনে (খুলনা) যাচ্ছি।”

হাসপাতালের ভর্তি রোগী রাঢ়ুলি গ্রামের মো. সেকেন্দার মিয়া হেলথ নিউজকে বলেন, “ডাক্তার তো সব সময় পাইনে। কোনো দিন একটার সময় আসে আবার কোনো দিন আসে না।”

চিকিৎসাধীন আরেক রোগীর স্বজন মনোয়ারা বেগম হেলথ নিউজকে বলেন, “ওয়ার্ডগুলোতে যেসব টয়লেট আছে, নোংরা-দুর্গন্ধে তা ব্যবহার করা যায় না। প্রায়োজনীয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় এসব পরিষ্কার করা হয় না।”

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুজন কুমার সরকার হেলথ নিউজের জিজ্ঞাসায় জানান, ২১ জন চিকিৎসকের স্থলে এখানে রয়েছে মাত্র ৬ জন। হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি, ইএনটি, কার্ডিওলোজি, গাইনোকোলজি, চর্ম, শিশু কোনো বিভাগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে রোগীদের প্রত্যাশিত স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।

কিছুদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে ডা. মুকুল কুমার মজুমদার যোগদান করেছেন। কিন্তু প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজ নিয়ে তাকে খুলনা, ঢাকা ও উপজেলার বিভিন্ন সভায়ই ব্যস্ত থাকতে হয়।

গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন হেলথ নিউজকে বলেন, “প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকা ও সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এখন রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা চিকিৎসা নিতে এখন আর ওই হাসপাতালে যায় না।”

সমস্যা সমাধানের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক হেলথ নিউজকে বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় ওখানে চিকিৎসকরা থাকতে চায় না। তবে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নতুন নিয়োগের মাধ্যমে এখানে জনবল বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3