পার্কিনসনের চিকিৎসায় নতুন আশা
নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২ মার্চ ২০২৫, ১৫:০৩ | আপডেটেড ২ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৩

পার্কিনসন রোগের চিকিৎসায় এফএএম ১৭১এ২ নামের একটি নতুন থেরাপিউটিক টার্গেট-উপাদান আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার জার্নাল সায়েন্স-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি বিশ্বের প্রথম এ ধরনের আবিষ্কার।
গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের ফুতান ইউনিভার্সিটির হুয়াশান হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের উপপ্রধান ইউ চিনতাই। তার নেতৃত্বে পাঁচ বছরের গবেষণার পর পার্কিনসনের অগ্রগতি কমাতে সম্ভাব্য ওষুধও চিহ্নিত করেছেন চীনা গবেষকরা। গবেষণাটি ন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউরোলজিক্যাল ডিজিজেস এবং ন্যাশনাল কি ল্যাবরেটরি অফ ব্রেইন ফাংশন অ্যান্ড ব্রেইন ডিজিজেসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে।
আলঝেইমার্সের পর পার্কিনসন দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ। এটি রোগীর দৈনন্দিন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। প্রচলিত ওষুধ ও অস্ত্রোপচারে উপসর্গ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও রোগের অগ্রগতি রোধ করতে পারে না। ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বে পার্কিনসন রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ ছাড়াতে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই হবে চীনের।
গবেষণা অনুসারে, প্যাথলজিক্যাল আলফা-সিনুক্লিন প্রোটিন পার্কিনসনের মূল কারণ। এটি নিউরনের কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং আশেপাশের সুস্থ নিউরনগুলোর ক্ষতি করে।
গবেষকরা এফএএম১৭১এ২ উপাদানটিকে ওই প্রোটিন সংক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ রিসেপ্টর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাত হাজারের বেশি যৌগের সিমুলেশন পরীক্ষা করে ‘বেমসেনটিনিব’ নামের একটি সম্ভাব্য ওষুধ চিহ্নিত করেছেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি এফএএম১৭১এ২ এবং প্যাথলজিক্যাল আলফা-সিনুক্লিনের সংযুক্তিতে বাধা দিতে পারে, যা পার্কিনসনের অগ্রগতি হ্রাস করে।
বিষয়: special1
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

