পৃথিবীর এক লাখ মানুষ মারা গেলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ২৩:০৪ | আপডেটেড ১২ এপ্রিল ২০২০, ০৩:০৪

population-grouth-2

অবশেষে সংখ্যাটা ঠিকই এক লাখ পার হলো। পৃথিবীর কমপক্ষে এক লাখ মানুষ জীবন দিয়েই পরাজিত হলেন করোনাভাইরাস নামের এক নতুন ঘাতকের কাছে। রোববার দুপুরে এ সংখ্যাটা ১ লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌছেছে।

অপরিচিত ও নতুন এ ঘাতকের কাছে মাত্র ৩ মাসেই বিপুল সংখ্যক মানুষের এ পরাজয় ঘটেছে এক অদৃশ্য লড়াইয়ে। ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়েই এ মুহুর্তে থেমে আছে বিশ্বের অধিকাংশ যাত্রাপথ। সব দেশে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ এখন ‘স্টে হোম বা ঘরে থাকো’।

কোনো একটি বিশেষ দেশের মানুষ নন, পৃথিবীর ২০৬ দেশ ও অঞ্চলে বিদ্যা-বুদ্ধি-প্রযুক্তির সবার উপরে থাকা দেশগুলোই মৃতের এ তালিকায়, সবার উপরে থেকেই নিজেদের নামগুলো ভাগ করে নিয়েছে। এবং পৃথিবীর আর কোনো প্রাণী নয়, এই ঘাতকের মুল আঘাত এসেছে শুধু মানুষের উপর-ই।

ভাইরাসটির উৎপত্তি চীনে হলেও বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এখন আক্রান্ত আর মৃত্যুর তালিকায় সবার উপরে। ইউরোপের প্রাচীন দেশ ইতালী নি:শেষ হবার এ তালিকায় অবশেষে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারপর ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছে স্পেন ও ফ্রান্স। আর এক সময় পৃথিবী শাসন করা যুক্তরাজ্যর নামও উপরের দিকেই।

নানারকম প্রচেষ্টায় পৃথিবীর দেশগুলো একে অপরের থেকে, দেশে দেশে মানুষ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় তার গতি কমায়নি। বরং করুনাহীনভাবে খুব দ্রুতই তা পার হয়ে এখন ১৭ লাখ ৮৭ হাজারের ঘরে। আক্রান্ত বিপুল মানুষের অনেকের অবস্থা ভালো। একই সাথে বহু মানুষ এখনো লড়ছেন মৃত্যুর সাথে।

ব্রাজিলের গভীর বনাঞ্চল আমাজনের আদিবাসী তরুন থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রিন্স চার্লসও আক্রান্ত এ ভাইরাসে। আতঙ্কে শরীরের বিশেষ নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

করোনাভাইরাসে প্রথমে চীনে, তারপর হংকং, ফিলিপাইন্স ও জাপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইউরোপে প্রথম ব্যক্তি মারা যান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রথমে সময় নিয়ে পরে তীব্র আঘাতে তা কুপোকাত করে আধুনিক ইউরোপকেই।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তের পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটার জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১ টায় পৃথিবীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর রোববার দুপুরের পর মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ২৮৮। একটু তাকিয়ে থাকলেই আক্রান্ত ২শ ৬ টি দেশ ও অঞ্চলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে এসে সংখ্যা আবার বাড়িয়ে তুলছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর কাটা অনবরত ঘুরছেই। অবশ্য করোনা মিটার বলছে, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

১ মার্চ প্রথম ব্যক্তি মারা গেলেও বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এ মুহুর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরাক্রমশালী এ দেশটি কমপক্ষে ২০ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু ঠেকাতে পারেনি। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশী আছেন কমপক্ষে ১শ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে করোনামিটার।

অন্যদিকে ৮ হাজার ৯৫৮ জনের বেশি মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা এখন ভালো।

ফলে করোনা ভাইরাস কতটা করুনাহীন তা কফিনের লম্বা সারি বেঁধে টের পাচ্ছে ইউরোপও। তবে আগের চেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা একটু কমেছে। প্রাচীন সভ্যতার ধারক এ মহাদেশের ইতালিতে মারা গেছে সবচেয়ে বেশি মোট ১৯ হাজার ৪৬৮। তবে গত এক সপ্তাহের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে মৃতের হার।

৩য় অবস্থানে রয়েছে স্পেন যার মৃত মানুষের সংখ্যা বৃহস্পতিবার ১৬ হাজার ৬০৬ জনে। এছাড়া ফ্রান্সে ১৩ হাজার ৮৩২। ইউরোপের দেশ জার্মানীতে ২ হাজার ৮৭১ ও সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার ৩৬ জন মারা গেছেন।

এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৯ তে। শুক্রবার রাতে ৮ হাজার ৫০৪ জনের দেহে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ও ইরানে ৪ হাজার ৩৫৭জন মারা গেছেন

আক্রান্ত বাড়ছে এশিয়ার দেশ জাপান ও পাকিস্তানেও। জাপানে ৫৫৩০ আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ৯৯ জন। পাকিস্তানে ৪ হাজার ৬৯৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৬৬ জন। নতুন করে এ ভাইরাসে মৃত্যু বাড়ছে বেলজিয়াম, সুইডেন ও ইসরাইলেও।

এদিকে, সবশেষ হিসেবে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১শ জনের বেশিসহ সারাবিশ্বে দেড় শতাধিক বাংলাদেশী মারা গেছেন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ এক ভাষণে এর ভয়াবহতা স্বীকার করে বলেছেন, তারপরও সামনে দিকে দিকে সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলো দেখতে পাচ্ছেন। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যর শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, আগামী সপ্তাহে মৃত্যুর রেকর্ড সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে যেতে পারে। তারা মনে করেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ফলে সব হিসেব, সব আন্দাজ, সব আহবান উপেক্ষা করেই দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এবং কদিন আগের চেয়ে অবিশ্বাস্য ও দ্রুতগতিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারো বলেছে, করোনা থেকে বাঁচতে সহজ কোনো পথ খোলা নেই। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনের উহান প্রদেশে এ ভাইরাসটি চিহিৃত হয়।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসায় থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৪টি হাসপাতাল থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3