পৃথিবীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষ নেই !

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৭ মে ২০২০, ১৮:০৫ | আপডেটেড ২৭ মে ২০২০, ০৭:০৫

Statue-of-leberty

এক দুই তিন শেষে সংখ্যাটা সাড়ে ৩ লাখও পার হলো। পৃথিবীর কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ মানুষ জীবন দিয়েই পরাজিত হলেন করোনাভাইরাস নামের এক নতুন ঘাতকের কাছে। আর মৃত এই সাড়ে ৩ লাখের মধ্যে শুধু একলাখ-ই বিশ্বের প্রথম ও প্রবল প্রযুক্তি ও পরাশক্তির দাবিদার আমেরিকার মানুষ।

শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ব্রাজিল হঠাৎ করেই এখন আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। আক্রান্তের তালিকায় এখন তা ঠিক যুক্তরাষ্ট্রের নিচে ৩ লাখ ৯৪ হাজারও ছাড়িয়েছে। অন্যসব দেশে গতি ধীর হয়ে এলেও  হু হু করে বেড়ে যাওয়া মৃত্যুর তালিকায় নাম উঠেছে ব্রাজিলের ২৪ হাজার ৫৯৩ জনের।

গত ১০ এপ্রিল মৃতের তালিকায় ১ লাখ মানুষের নাম উঠেছিল। এর ঠিক ১৫ দিনের মাথায় ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ২ লাখ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটার। ঘড়ির কাটার তালে মৃত্যু বেড়েছে। হাহাকার থামেনি কোনো এক দিন বা গভীর রাতের মুহুর্তেও। সেই মিটারে বুধবার সন্ধ্যায় মৃতের সংখ্যা ঠিক ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯শ’ জন।

অপরিচিত ও নতুন এ ঘাতকের কাছে মাত্র সাড়ে ৪ মাসেই বিপুল সংখ্যক মানুষের এ পরাজয় ঘটেছে এক অদৃশ্য লড়াইয়ে। ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়েই এ মুহুর্তে থেমে আছে বিশ্বের অধিকাংশ যাত্রাপথ। অধিকাংশ দেশেই এখনো সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ  ‘স্টে হোম বা ঘরে থাকো।’অবশ্য অনেক স্থানেই তীব্র সংশয় নিয়েই খুলেছে দোকানপাট, জীবন টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই।

কোনো একটি বিশেষ দেশের মানুষ নন, পৃথিবীর ২০৮ দেশ ও অঞ্চলে বিদ্যা-বুদ্ধি-প্রযুক্তির সবার উপরে থাকা দেশগুলোই মৃতের এ তালিকায়, সবার উপরে থেকেই নিজেদের নামগুলো ভাগ করে নিয়েছে। এবং পৃথিবীর আর কোনো প্রাণী নয়, এই ঘাতকের মুল আঘাত এসেছে শুধু মানুষের উপর-ই।

ভাইরাসটির উৎপত্তি চীনে হলেও বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এখন আক্রান্ত আর মৃত্যুর তালিকায় সবার উপরে ১ লাখ ৬২৫ জন।

নি:শেষ হবার এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এক সময় পৃথিবী শাসন করা যুক্তরাজ্যর নাম। যেখানে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৪৮ জন।  তারপর ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছে ইউরোপের প্রাচীন দেশ ইতালী , স্পেন ও ফ্রান্স।

মৃতের তালিকায় আছেন ইতালির ৩২ হাজার ৯শ ৫৫ জন। তারপর স্পেন ২৭ হাজার ১১৭ ও ফ্রান্স ২৮ হাজার ৫৩০ জন।

নানারকম প্রচেষ্টায় পৃথিবীর দেশগুলো একে অপরের থেকে, দেশে দেশে মানুষ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় তার গতি কমায়নি। বরং করুনাহীনভাবে খুব দ্রুতই তা পার হয়ে এখন ৫৭ লাখ ৯ হাজারের ঘরে।

আক্রান্ত বিপুল মানুষের অনেকের অবস্থা ভালো। একই সাথে বহু মানুষ এখনো লড়ছেন মৃত্যুর সাথে।

ব্রাজিলের গভীর বনাঞ্চল আমাজনের আদিবাসী তরুন থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রিন্স চার্লসও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আতঙ্কে শরীরের বিশেষ নমুনা পরীক্ষা করতে বাধ্য হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

করোনাভাইরাসে প্রথমে চীনে, তারপর হংকং, ফিলিপাইন্স ও জাপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইউরোপে প্রথম ব্যক্তি মারা যান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রথমে সময় নিয়ে পরে তীব্র আঘাতে তা কুপোকাত করে আধুনিক ইউরোপকেই।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তের পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটারে একটু তাকিয়ে থাকলেই আক্রান্ত ২শ ৮ টি দেশ ও অঞ্চলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে এসে সংখ্যা আবার বাড়িয়ে তুলছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর কাটা অনবরত ঘুরছেই। অবশ্য করোনা মিটার বলছে, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪ লাখ ৫১ হাজারের বেশি।

১ মার্চ প্রথম ব্যক্তি মারা গেলেও বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এ মুহুর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত ১৭ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।

ফলে করোনা ভাইরাস কতটা করুনাহীন তা কফিনের লম্বা সারি বেঁধে টের পাচ্ছে ইউরোপও। তবে আগের চেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা একটু কমেছে। তবে তার আগে ইউরোপ নি:স্ব হয়েছে ১ লাখের বেশি মৃত্যু নিয়ে।

প্রাচীন সভ্যতার ধারক এ মহাদেশের ইতালি যেনো ইউরোপে এ মৃত্যুর নেতৃত্ব দেয়। পিছিয়ে থাকেনি স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডের মতো সর্বাধুনিক উন্নত দেশগুলো।

এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫ তে। ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি দেহে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।  ইরানে ৭ হাজার ৫৬৪ জন মারা গেছেন।

এদিকে, সবশেষ হিসেবে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১শ ৮৯ জনের বেশিসহ সারাবিশ্বে প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশী মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যর শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন,করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ফলে সব হিসেব, সব আন্দাজ, সব আহবান উপেক্ষা করেই দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এবং কদিন আগের চেয়ে অবিশ্বাস্য ও দ্রুতগতিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারো বলেছে, করোনা থেকে বাঁচতে সহজ কোনো পথ খোলা নেই। শুধু তাই নয়, তারা মনে করছে এই ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনের উহান প্রদেশে এ ভাইরাসটি চিহিৃত হয়।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3