বায়ুদূষণে বাড়ছে বিষণ্নতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:১২ | আপডেটেড ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:১২

IMG_0594

বায়ুদূষণের কারণে মানুষের শরীরে নানা রোগবালাই বাসা বাঁধছে, সবচেয়ে বেশি বাড়ছে মানুষের বিষণ্নতা।

বাড়ছে রাগ-ক্ষোভ। সব মিলিয়ে বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানালেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের পাঁচ বিজ্ঞানীর করা গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে আসে, তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভোগে। আর এসব মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আমাদের দেশেও বিভিন্ন স্বাস্থ্য জরিপ ও গবেষণায় প্রায় একই ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা জানালেন গবেষকেরা।

‘বায়ুদূষণের সঙ্গে বিষণ্নতা, রাগ, উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ ও আত্মহত্যার সম্পর্ক’ শীর্ষক ওই গবেষণায় বিশ্বের ১৬টি দেশের বায়ুদূষণ–সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ১৯৭৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বায়ুর দেশগুলোতে করা এ–সংক্রান্ত ১ হাজার ৮২৬টি গবেষণা ও গবেষণাপত্রও মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাতে সামগ্রিকভাবে ওই দেশগুলোর ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষের মনের ওই অবস্থা উঠে এসেছে।

১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করে।

গবেষণা প্রতিবেদনটি নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বায়ুদূষণবিষয়ক গবেষক আবদুস সালামের সঙ্গে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ, কোনো শহরের বায়ুদূষণ যে মাত্রায় থাকলে বিষণ্নতা ও আত্মহত্যা বাড়ে, বাংলাদেশে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ প্রধান বড় শহরগুলোতে সে ধরনের দূষিত বায়ু রয়েছে।

গবেষণাটিতে বিশ্বের যে ১৬টি দেশের চিত্র উঠে এসেছে, তার মধ্যে অবশ্য বাংলাদেশ নেই। তবে বাংলাদেশের মতো বায়ুদূষণ রয়েছে যেসব দেশে, তার মধ্যে ভারত ও চীনের অবস্থা ওই গবেষণাতে উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বায়ুতে দূষিত ভারী বস্তুকণা পিএম ২.৫ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ভারতের দিল্লিতে। সেখানে প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে ভারী বস্তুকণার পরিমাণ পাওয়া গেছে ১১৪ মাইক্রোগ্রাম। ঢাকায় এর পরিমাণ ১০০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ, ঢাকা ও দিল্লির বাতাসের দূষণের অবস্থা প্রায় কাছাকাছি।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ অনুযায়ী, দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ১৭ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। এসব ব্যক্তির ৯২ শতাংশ চিকিৎসা নেন না। ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা এসব কিশোর-কিশোরীর ৯৫ শতাংশ কোনো চিকিৎসা নেয় না।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী, উদ্বেগ দেখছেন না মেয়র

ইংল্যান্ডে কিশোরদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে এনার্জি ড্রিংকস

খুলনায় সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পাচার থামেনি

রামেকে ক্যান্সার চিকিৎসায় পুনরায় কোবাল্ট-৬০ মেশিন

যক্ষ্মা গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি

ক্যান্সার রোগী বছরে আড়াই লাখ বাড়ছে

বছরে ৩ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে

মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ‘আশ্বাস’

গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ

৪ জেলায় ৪টি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে

কোরবানির ঈদে মাংস খান বুঝে

কোরবানীর মাংস কীভাবে সংরক্ষণ করবেন?

রাজশাহীতে ক্যান্সার নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র চালু

রাজশাহীর পশুর হাটে সূচ-ব্লেডে আতঙ্ক

অবহেলায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের নীতিমালা কেন নয়: হাইকোর্ট

শিরোইলে অ্যামোনিয়া গ্যাসে আটকে আসে নিঃশ্বাস

মেডিকেল ভর্তি কোচিং ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ

পথের খোলা শরবত কতটা স্বাস্থ্যকর?

১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দৃষ্টান্ত: নাসিম

বিএসএমএমইউতে বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষা

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3