বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১১:০৮ | আপডেটেড ১৩ আগস্ট ২০১৮, ০৫:০৮

icu

এখন ঢাকার বেশ কিছু হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ থাকলেও তার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

জীবন সঙ্কটে থাকা রোগীদের আইসিইউতে রাখা হলেও সাধারণ রোগীদের আইসিইউতে রেখে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদরকি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসাপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।

রোগীদের জিম্মি করে আইসিইউতে রাখায় বছর দুয়েক আগে উত্তরার কেয়ার স্পেশালাইজড অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই কারণে রিজেন্ট হাসপাতালকে করা হয় ছয় লাখ টাকা জরিমানা।

এরকম কিছু হাসপাতাল ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আইসিইউ খুললেও বেশিরভাগ আইসিইউই মানসম্পন্ন নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, সরকারি এবং হাতেগোণা কয়েকটি হাসপাতালের বাদে বাকি আইসিইউগুলোতে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যাও অপ্রতুল। আইসিইউ পরিচালনার জন্য কোনো নীতিমালাও নেই।

আইসিইউ খুলে এভাবে জিম্মি করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইসিইউ সেবা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিইউগুলোতে পোর্টেবল এক্সরে মেশিন, এবিজি মেশিন, পোর্টেবল আলট্রাসনোগ্রাম, পোর্টেবেল ভেন্টিলেটর, ডায়ালাইসিস ফ্যাসিলিটির মতো অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতির সংখ্যা কম। শয্যা সংখ্যার অনুপাতে ভেন্টিলেটরও নেই।

এসব আইসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক থাকেন না বলেও প্রমাণ পেয়েছে অধিদপ্তর, যদিও সার্বক্ষণিক কনসালটেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।

অনেক আইসিউতে মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, সার্জারি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি ও গাইনি বিশেষজ্ঞ পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) এ শিশু বিশেষজ্ঞ থাকলেও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না, তাও নিশ্চিত নয়।

হাসপাতালগুলোতে নার্সের সংখ্যা পর্যাপ্ত হলেও আইসিইউ বা এনআইসিইউতে তাদের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা নেই বলেই উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

আইসিইউ চললেও তার জন্য নীতিমালা এখনও না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই মাহবুব।

তিনি বলেন, “আইসিইউ পরিচালনার কোনো গাইডলাইন্স নেই। যার কারণে হাসপাতালগুলো যেভাবে পারছে মুনাফা করে নিচ্ছে। সরকারের উচিত আইসিইউ সেবার জন্য সেবামূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া, তাহলে যদি কিছুটা লাগাম টানা যায়।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক পরিচালনার জন্য দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন্স) ১৯৮২ অনুযায়ী ক্লিনিক বা হাসপাতালের অনুমোদন নিয়ে কেউ আইসিইউ, এনআইসিইউ, সিসিইউ খুলতে পারে না। অথচ ক্লিনিকগুলোতে সেটাই চলছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আমরা কাজ শুরু করেছি।”

কাজের ব্যাখ্যায় নিতে বলেন, “বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা মনিটরিং শুরু করেছি।”

ডা. জাহাঙ্গীর জানান, আইসিইউর দুষ্প্রাপ্যতা কমিয়ে আনতে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব জেলা হাসপাতালগুলোতে পাঁচ শয্যার আইসিইউ চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

৩টি অভ্যাস করুন, দূরে রাখুন হৃদরোগ

ভুটান গেল বাংলাদেশের ওষুধ

হৃদরোগের ইতিবৃত্ত

খুলনা মেডিকেলে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসা সেবায় মান নিয়ে প্রশ্ন

জন্ডিসে চাই সচেতনতা

ওষুধ সংরক্ষণে উদাসীনতা!

চর্ম রোগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে বারণ

জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে বছরে ৬ হাজার মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যবীমা চালু হল ভারতে

রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা মেডিকেলে নতুন ইউনিটের পরিকল্পনা

‘লাভ না দেখে মানুষকে দেখুন’

ট্রাস্টের অধীনে এল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো

খোলা খাবারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাজশাহীর স্কুলশিশুরা

ঢাকা মেডিকেলের টিকিটের টাকা লোপাটের আসামি ৬ জন

স্বাস্থ্য খাতে এডিবিরি সহায়তা

২৩ রোগ গোপন রাখলে শাস্তির বিধান হচ্ছে

পরিবেশ দূষণে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু

রাজশাহীতে ঘরে ঘরে জ্বর, করণীয় কী?

দেশে বেড়েছে ক্যান্সারে মৃত্যু

যা থাকবে ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতালে

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3