ভেজাল রোধে সরকারি সংস্থাগুলো কী করছে: হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১২ মে ২০১৯, ০১:০৫ | আপডেটেড ৫ জুন ২০১৯, ০২:০৬

HC-Ctg-Edit

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট।

একটি রিট আবেদনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ থেকে এই উষ্মা প্রকাশ হয়।

৫২টি ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্যের তালিকা তুলে ধরে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তালিকা ধরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটি (সিসিএস)’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান এই রিট আবেদনটি করেন।

ওই ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার, জব্দ ও মান উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চান তিনি।

শুনানিতে আইনজীবী শিহাব মানের পরীক্ষায় ৫২টি পণ্যের অকৃতকার্য হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, এক্ষেত্রে বিএসটিআই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

একজন ভোক্তা এসব নিত্যপণ্য ব্যবহার না করে থাকবেন না বলে এটাকে ‘পাবলিক ইস্যু’ দাবি করে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক বলেন, এ কাজগুলো সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার।

“আমরা কি দেশ চলাই নাকি, দেশ চালায় সরকার। বিএসটিআই একটি বিশেষ সরকারি প্রতিষ্ঠান। কোথায় ভেজাল হচ্ছে, কোথায় জেলখানায় মানুষ পুড়ে যাচ্ছে, এসব কেন আমাদের কাছে আসবে। এসব দেখার দায়িত্ব তো সরকারের। সরকার কী করছে?

“আমরা মানুষের মামলা করব, না এগুলো করব? প্রতি সপ্তাহেই এ বিষয়গুলো আসছে। আবার এগুলো ফেলে দেওয়ার মতোও না।”

উপস্থিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারক বলেন, “কী করব আমরা বুঝতেই পারছি না। প্রতি সপ্তাহে একটা না একটা ম্যাটার আসছেই। এটাতে ভেজাল, ওটতে ভেজাল। বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান আছে। তারপরও ফরমালিন দিয়ে হরহামেশা এটা-সেটা বিক্রি হচ্ছে।”

রিট আবেদনকারীর দাখিল করা ৫২টি খাদ্যপণ্যের তালিকা দেখিয়ে বিচারপতি বলেন, “কোনো কোম্পানিই তো বাদ নাই।”

বিএসটিআইর এই প্রতিবেদন সম্প্রতি দেওয়া হয়েছে জানার পর বিচারক বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, রোজা আসলেই কেন টেস্ট করতে হবে? রোজার সাথে ভেজালের কী সম্পর্ক?”

ওই কোম্পানিগুলোকে ‘শোকজ’ নোটিস পাঠানো হয়েছে জানার পর বিচারক তখন বলেন, “শোকজ করেছে, এখন আমাদের জানা দরকার এর ফলোআপটা কী হয়েছে।

“বিএসটিআই যদি মনে করে এগুলো সাবস্ট্যান্ডার্ড (নিম্নমনের), তাহলে শোকজ করার সাথে সাথে কাজ হল এই পণ্যগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া এবং রেগুলার সেটার ফলোআপ করা।”

তখন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, “এই পণ্যগুলো বাজারে থাকার কথা না, তারপরও থাকছে।”

এরপর বিচারক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘আপনি দুটি কোম্পানিকে ডাকেন। আমরা আদেশ দিয়ে ডাকছি না। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একজন সিনিয়র অফিসারকে ডাকেন, আর বিএসটিআইর একজনকে।

“আপনি রেসপন্সসিবলদের কাছে জানতে চান, সরকার দায়িত্ব দিয়েছে এই কাজগুলো করার, বসে আছেন কেন?”

শিহাব বলেন, “ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্যপণ্যের বিষয়ে তাদের কাজ-করণীয়, পদক্ষেপের কথা শুনে আদালত রোববার আদেশ দেবেন।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3