মানসিক রোগী বাড়ছে রাজশাহীতে

তারেক মাহমুদ, রাজশাহী প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:০২ | আপডেটেড ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:০২

raj-mdi

রাজশাহীতে বাড়ছে মানসিক রোগীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক চাপ, মাদকাসক্ত ও ইন্টারনেটে আসক্তিই এর মূল কারণ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত এক বছরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের মানসিক বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ১২৪ জনকে।

রাজশাহীর প্রায় ২৫ লাখ মানুষসহ পাশের জেলাগুলো থেকে আসা রোগীর জন্য এখানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র চারজন। এর মধ্যে তিনজন বিশেষজ্ঞ ও একজন মেডিকেল অফিসার।

প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৯০ জন রোগী। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।

রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের পাঠানো হচ্ছে পাবনার মানসিক হাসপাতালে। আর বাকি রোগীদের ফলোআপে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মোট ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন। এদের মধ্যে যারা মানসিক বিষন্নতায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কাজ করে।

মানসিক রোগীদের প্রতি সমাজের ভুল ধারণা ও তাদের প্রতি খারাপ আচার আচরণ দূর করতে সবাইকে উদ্যোগী হয়ে জনসচেতনতা বাড়ালে এই রোগীদের সুস্থ করা যাবে এবং সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দিন আহমেদ হেলথ নিউজকে বলেন, সাধারণত ১৪ থেকে ৫০ বছর বয়সীদেরকে বিভিন্ন সমস্যায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আসে তরুণরা। তাদের বেশিরভাগই সামাজিক, পারিবারিক ও মাদকাসক্তি সমস্যায় ভুগে। 

তিনি বলেন, “বর্তমানে যেসব মানসিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যে রয়েছে বিষন্নতা, উদ্বিগ্নতা, বিরক্তিবোধ, অস্থিরতা, হঠাৎ রেগে যাওয়ার প্রবণতা, অতিচঞ্চলতা, অমনোযোগিতা, আহারব্যাধি, মনোব্যাধি, আত্মহত্যা ও নিজের ক্ষতি, মাদকাসক্তি, অবাধ যৌনাচার ও ভায়োলেন্সের প্রস্তুতি।”

অধ্যাপক মঈন বলেন, বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবার ও সমাজ থেকে তাদের প্রতি খারাপ আচরণ করা হয়ে থাকে। এ সময় রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের পাশে থেকে সুন্দর ব্যবহারের দ্বারা বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। রোগীর সঙ্গে কখনোই খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাদের সর্বক্ষণ নজরে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়ায়ী চলতে হবে।

তিনি বলেন, “বর্তমানে জেলাভিত্তিক মানসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, রোগীকে সর্বশেষ পর্যায়ে আমাদের কাছে আনা হয়। তাদের প্রথম প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা করালে তাড়াতাড়ি সুস্থ করা সম্ভব হয়।”

মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতার উপর জোর দেন এই চিকিৎসক।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি

বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সহায়তার আশ্বাস

ভোটের প্রচারে থাকায় ওসমানীর অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জনকে শোকজ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3