রক্ত পরীক্ষায় কয়েক মিনিটে ধরা পড়বে ক্যান্সার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:০৯ | আপডেটেড ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০৯

nurul-islam-nahid

ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ শনাক্ত করা যাবে মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের মতো রক্তের একটি পরীক্ষায়, এমন পদ্ধতি আবিষ্কারের দাবি করেছেন বাংলাদেশের একদল গবেষক।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকরা বলছেন, ‘ননলিনিয়ার অপটিকস’ নামের এই পদ্ধতিতে এটা সম্ভব।

বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যান্সার শনাক্তের নতুন পদ্ধতি তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশি গবেষকদের এই আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘ননলিনিয়ার অপটিকস’ পদ্ধতির মাধ্যমে আগেভাগেই শরীরে ক্যান্সারের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

ক্যান্সার শনাক্তের জন্য সংগ্রহ করা রক্তের নমুনার মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার লেজার রশ্মি ফেলে রক্তে পরিবর্তন দেখা হবে এই পদ্ধতিতে।

গবেষক দলের সদস্য ড. মানস কান্তি বিশ্বাস বলেন, “রক্তে পরিবর্তনের বিষয়টি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধরা পড়বে এবং ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।”

অধ্যাপক ইয়াসমিন বলেন, তারা ক্যান্সারের রোগী এবং সুস্থ মানুষের রক্ত এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করেছেন, যার ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

এখন ক্যান্সার চিকিৎসায় জটিল নানা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং তা অধিকাংশ শনাক্ত হয় শেষ পর্যায়ে, যখন চিকিৎসকদের খুব একটা কিছু করার থাকে না।

বাংলাদেশের গবেষকদের এই আবিষ্কার সেখানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন এই পদ্ধতিটি এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কারও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এর পেটেন্ট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ড. মানস আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই তারা রক্তের নমুনা পরীক্ষার একটি ডিভাইস তৈরি করতে পারবেন, যাতে বিভিন্ন কোম্পানি এটি তৈরিতে এগিয়ে আসতে পারে।

অধ্যাপক ইয়াসমিন বলেন, “গবেষণায় ব্যবহৃত সব প্রযুক্তি এবং যন্ত্রটি আমরাই উদ্ভাবন করেছি। এমনকি মাত্র ৫০০ টাকায় রক্তের নমুনা সংরক্ষণের পাত্রটি তৈরি করা হয়েছে, যেটি আমদানি করতে ব্যয় হত ২৭ হাজার টাকা।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদা আরজুমান মনে করেন, নতুন পদ্ধতিটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।

বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ১৫০ টাকায় এফএনএসি পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই প্রকল্পের সহযোগী অধ্যাপক শরিফ মো. শরফ উদ্দিন বলেন, নতুন উদ্ভাবিত পদদ্ধতির সবচেয়ে সুবিধা হল উচ্চমাত্রায় সংবেদনশীল।

শুধু ক্যান্সার শনাক্তই নয়, ননলিনিয়ার অপটিকস পদ্ধতি আরো পরীক্ষায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “হয়ত আমরা একদিন এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার শনাক্তের পাশাপাশি ক্যান্সারের সবধরনের মাত্রাই নির্ণয় করতে পারব।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

পথের খোলা শরবত কতটা স্বাস্থ্যকর?

১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দৃষ্টান্ত: নাসিম

বিএসএমএমইউতে বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষা

বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউর মান নিয়ে প্রশ্ন

দুর্ঘটনা: চিকিৎসার নীতিমালার গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

মেডিকেলে ভর্তিতে আসন ৫০০ বাড়ল

উপজেলায় ক্যান্সার হাসপাতাল!

খুলনায় চিকিৎসকের সঠিক সময়ে হাজির হতে নির্দেশনা

সব কমিউনিটি ক্লিনিক আসছে ট্রাস্টের অধীনে

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ অক্টোবর

জাবালে নূরের বাসচাপায় আহতদের চিকিৎসা খরচ সরকারের

ক্যান্সার রোগীর এক-তৃতীয়াংশই হেড-নেকের

দেশে বছরে ২০ হাজার মৃত্যু হেপাটাইটিসে

সরঞ্জাম সঙ্কটে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন

লোকসানই কারণ: জিএসকে

হরলিক্স রেখে দিয়ে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন বিএসএমএমইউর ৫ শিক্ষার্থী

তৃণমূলে চিকিৎসক দিতে মন্ত্রীকে ডিসিদের সুপারিশ

ওসমানী মেডিকেলে কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3