রেনিটিডিনে ক্যান্সারের উপাদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৯ | আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:০৯

medicine

অ্যাসিড নিঃসরণ প্রতিরোধসহ পেটের পীড়ার নানা উপসর্গের চিকিৎসায় বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিনের মধ্যে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া গেছে।

এরপর বেশ কয়েকটি দেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র স্যান্ডোজের তৈরি রেনিটিডিন ক্যাপসুলের মধ্যে ‘এন-নিট্রোসডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ)’ নামে পরিবেশ দূষণজনিত এ উপাদানের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর কোম্পানিটি তাদের এই ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাথমিক পরীক্ষায় বেশ কিছু ব্র্যান্ডের রেনিটিডিনের মধ্যে এনডিএমএর উপস্থিতি পাওয়ার পর সতর্কতা জারি করা হয়।

তখন এই ওষুধের কোনো ব্র্যান্ডের মধ্যে এনডিএমএর ক্ষতিকর মাত্রা নিশ্চিত না হলেও সতর্কতা হিসেবে কানাডা, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি রেনিটিডিন সরবরাহ বন্ধ করার ও বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন স্বাস্থ্য সেবাদাতা ও রোগীদের উদ্দেশ্যে এক সতর্কবার্তায় বলেছে, উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর স্যান্ডোজ তাদের তৈরি দুই মাত্রার রেনিটিডিন ক্যাপসুলের (১৫০ ও ৩০০ মিলিগ্রাম) ১৪টি লট বাজার থেকে স্বেচ্ছায় তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এর বাইরে অন্য কোনো রেনিটিডিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে এখনও প্রত্যাহার হয়নি। দুই সপ্তাহ আগে সতর্ক করার পর, স্যান্ডোজ তাদের সব ধরনের রেনিডিটিন ওষুধ বাজারে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে এফডিএ।

সংস্থটি বলছে, স্যান্ডোজের ক্যাপসুল ছাড়া অন্য রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ সেবনে এখনই তারা বারণ করছেন না। তবে কেউ চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শে অন্য কোনো কোম্পানির রেনিটিডিন সেবন করতে পারেন। 

স্যান্ডোজের ক্যাপসুলে উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কানাডার ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোটেক্স, প্রো ডক লিমিটেড, স্যানিস হেলথ ও সিভেম ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের তৈরি রেনিটিডিন জাতীয় বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে।

এর আগে কোনো কোম্পানির রেনিটিডিন বাজার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা না দেওয়া হলেও ওষুধে উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নেই বলে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে বাজারে রেনিটিডিন সরবরাহ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায় হেলথ কানাডা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুক্রবার ভারতের ওষুধ কোম্পানি স্ট্রাইডস এফডিএর অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের রেনিটিডিন বিক্রি বন্ধ রেখে তাদের ট্যাবলেটে এনডিএমএর উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করছে।

এর আগে গত সপ্তাহে ভারতের ওষুধ কোম্পানি ড. রেড্ডিস ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তাদের রেনিটিডিন বাজারে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

বাংলাদেশেও ধরনের পরামর্শপত্র ছাড়াই মানুষ নিজে থেকেই এই ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। এখানে বিদেশি কোম্পানি স্যান্ডোজ ও গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইনসহ অনেক দেশি কোম্পানির রেনিটিডিন বাজারে চললেও এ বিষয়ে কারো কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

করোনা পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ

লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ হচ্ছে দেশ

নতুন শনাক্ত ২৩৮১, মৃত্যু ২২

২৪ ঘন্টায় নেই ৪০ জন

মৃত্যু ৬শ ছাড়ালো

এক দিনেই শনাক্ত আড়াই হাজার

মাস্ক পরে অফিসে যেতে হবে

এক দিনেই শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

পৃথিবীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষ নেই !

এক সপ্তাহেই প্রাণহানি ১৫৮

আবারো ২১-এ ফিরলো মৃত্যু

মৃত্যু ৫শ ও আক্রান্ত ৩৫ হাজার ছাড়ালো

একদিনেই মৃত্যু ২৮ জনের

করোনা: প্রতিদিনই ভাঙ্গছে পুরনো রেকর্ড

করোনা: প্রতিদিনই ভাঙ্গছে পুরনো রেকর্ড

২৪ ঘন্টায় ২৪ মৃত্যু

মৃত্যু ৪শ ছাড়ালো: আক্রান্ত সাড়ে ২৮ হাজার

একদিনেই পরীক্ষা ১০ হাজার ছাড়ালো

আজও মারা গেলেন ২১ জন

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3