শীতে ধারণ ক্ষমতার ৩ গুণ শিশু রামেকে

তারেক মাহমুদ, রাজশাহী প্রতিনিধি, হেলথ নিউজ | ৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২৩:০১ | আপডেটেড ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০১

raj-mdi

রাজশাহীতে শীতজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে শীতের শুরু থেকে ভিড় বাড়তে বাড়তে এখন ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ শিশু ভর্তি রয়েছে।

সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইকিওলাইটিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা।

রামেক হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, ৩টি শিশু ইউনিট, ২৪ নম্বর ইউনিট, ১০ নম্বর ইউনিট এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সব ইউনিট মিলে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১২০টি। কিন্তু শিশু রোগীর সংখ্যা এখন পাঁচ শতাধিক।

বুধবার গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিভাগের বেড, মেঝে ও বারান্দার সব জায়গায় অসুস্থ শিশুরা চিকিৎসা নিচ্ছে। বারান্দায় হাঁটাচলার জায়গাটুকুও নেই। ফলে চিকিৎসাসেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

রামেকে শিশু ইউনিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়ানো দরকার বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। শিশুর স্বজনরা বলছেন, শিশুদের ইউনিট, বেড সংখ্যা, চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার।

চিকিৎসকরা বলছেন, অভিভাবকরা একটু অসচেতন হলেই এই মৌসুমে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইকিওলাইটিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা, জ্বরসহ নানান রোগে আক্রান্ত হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ছানাউল হক মিঞা বলেন, “অভিভাবকদের বলা হয় শিশুর প্রাথমিক ডাক্তার। চিকিৎসার প্রথম অবস্থায় অভিভাবকদের কাছ থেকেই আমরা বাচ্চাদের রোগের সম্পর্কে  প্রায় অর্ধেক তথ্য নিই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা রোগ নির্নয় করে চিকিৎসা শুরু করি। শীতের এ সময় অভিভাবকরা শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নিলে ছোট-বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।”

এই বিশেষজ্ঞ জানান, শীতে বাচ্চারা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এক মাসের নিচের বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগলে সচেতন না হলে অসুস্থ শিশু মারাও যেতে পারে।

তিনি বলেন, “জন্মের পরে ৬ মাস পর্যন্ত আমরা বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খেতে বলি। এ সময় মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। এটি সকল রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা এটি। এটাতেই অর্ধেক অসুখ কমে যায়। ৬ মাস পরে বুকের দুধের পাশাপাশি পারিবারিক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিতে হবে। পুষ্টিটা যদি ঠিক থাকে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হবে শিশু অসুস্থ কম হবে।”

রামেকের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহিদা বেগম বলেন, “এখন নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইকিওলাইটিসে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে এই রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় বাচ্চাকে কোনোমতেই ঠাণ্ডায় রাখা যাবে না। মায়েদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, বড় শিশুদের বেশি করে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ভোরে কুয়াশায় বাচ্চাকে কোনোমতেই বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি লোকজনের মাঝে ছোট বাচ্চাকে রাখা যাবে না। শিশু যেখানে থাকবে সে জায়গা ধুলোবালি মুক্ত রাখতে হবে, শিশুদের হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে, বাচ্চার আশেপাশে কোনোমতেই ধূমপান করা যাবে না।

শিশু অসুস্থ মনে হলেই দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, বলেন ডা. শাহিদা।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ওসমানিতে ‘ধর্ষণ’ তদন্তের সময় বাড়ানোর আবেদন

স্বাস্থ্যসেবায় টানাতে হবে মূল্য তালিকা

হেপাটাইটিস এড়াতে সচেতন হতে আহ্বান

মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোকে অনুদান

রামেকে লিভার রোগীর তুলনায় শয্যা কম

ভালসারটান ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ

এপেক্স ক্লাবের মাদকবিরোধী সাইকেল শোভাযাত্রা

৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাইফার বাবার মামলা

সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু

কঠিন খবরটি ছেলেকে দেওয়ার কঠিন কাজটি করলেন সোনালী

মাদকবিরোধী সাইকেল শোভাযাত্রা করবে এপেক্স বাংলাদেশ

‘ঘুষ ছাড়া চলে না’ ঢাকার সিভিল সার্জন অফিস

১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল হবে ৮ বিভাগে

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যেন পিকনিক না হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ওসমানী মেডিকেলে ‘ধর্ষণ’ তদন্তে কমিটি

রোগীর স্বজনকে ধর্ষণ: ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক

মানসিক অসুস্থতার মিথ্যা সনদে জেল-জরিমানা

জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৪৭০ কোটি ডলার জরিমানা

ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনে কমেছে রাতকানা রোগী

নিঃশব্দ ঘাতক হয়ে আসছে যৌনরোগ ‘এমজি’

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3