৪৮ ঘন্টায় মৃত ৩০ এর ২৯ জনই পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৭ মে ২০২০, ১৭:০৫ | আপডেটেড ১৭ মে ২০২০, ০৬:০৫

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা পৌণে ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। না দেখা এক নতুন ঘাতকের কাছে পৃথিবীর ১৩ লাখ ৭৭ হাজার জনের বেশি মানুষ হেরে গেলেন। প্রতি ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর গতি তা ১৪ লাখের নিয়েই যেনো নিয়ে চলেছে। সর্বত্রই এখনো অসহায় আত্মসমর্পণ।

একদিন হাজারের নিচে নেমে আবার একলাফেই তা উঠে গেলো অনেক উপরে। সেই সাথে দেশে এক দিনে রেকর্ড ১ হাজার ২৭৩ জনের শনাক্তের খবরও এলো। এরফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর গত ৪৮ ঘন্টায় প্রাণ হারানো ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনই ছিলেন পুরুষ।

২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৪ জন, যা দেশে মৃত্যুর সংখ্যাকে দাঁড় করিয়েছে ৩২৮ জনে। একই সাথে সারা দেশ থেকেই এসেছে সুস্থ হবার খবরও। গত ২৪ ঘন্টায় ২৫৬ জনসহ সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৩৭৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে রোববার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই পুরুষ, ১ জন নারী। আগের ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের সবাই ছিলেন পুরুষ।

তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি, তিনজনের ৭১ থেকে ৮০ বছরেরর মধ্যে। এছাড়া ৩ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরেরর মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৪২টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হয়েছে শনিবার। নতুন যুক্ত হয়েছে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭৬ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে; সারা দেশে এখন আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে,  ৪২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ৮ হাজার ৫৭৪টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১১৪টি। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ২২ হাজার ২৬৮ জন।

বুলেটিন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে তিন হাজার ৬৩৪ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪০ হাজার ৫৪৮ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৩৫৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৫৩১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৯ হাজার ৪১৭ জন।

বয়স বিশ্লেষণ

এদিকে করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা গেয়ে প্রথম দিকে ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার শতকরা ৫১ ভাগ হলেও এখন তা কমে ৪৫ শতাংশ হয়েছে। ২৭৬ জনের বয়স বিশ্লেষনে দেখা যায়, ৬১ থেরেক ৭০ বছরের মধ্যে বয়সীদের মারা গেছেন ৯৮ জন। অনদিকে

মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। অন্যদিকে ২৯ শতাংশ বা ৮০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আছেন ৩৯ জন (১৪ শতাংশ)। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী সাতজন মারা গেছেন।

১১ থেকে ২০ বছরের দুজন এবং ১০ বছরের কম বয়সী তিনজন করোনায় মারা গেছেন। ৭ মে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন মারা যান। ২৬ এপ্রিল ১০ বছরের কম বয়সী এক শিশু মারা যায়, আগে থেকেই যার কিডনি আক্রান্ত ছিল।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

করোনা পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ

লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ হচ্ছে দেশ

নতুন শনাক্ত ২৩৮১, মৃত্যু ২২

২৪ ঘন্টায় নেই ৪০ জন

মৃত্যু ৬শ ছাড়ালো

এক দিনেই শনাক্ত আড়াই হাজার

মাস্ক পরে অফিসে যেতে হবে

এক দিনেই শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

পৃথিবীর সাড়ে ৩ লাখ মানুষ নেই !

এক সপ্তাহেই প্রাণহানি ১৫৮

আবারো ২১-এ ফিরলো মৃত্যু

মৃত্যু ৫শ ও আক্রান্ত ৩৫ হাজার ছাড়ালো

একদিনেই মৃত্যু ২৮ জনের

করোনা: প্রতিদিনই ভাঙ্গছে পুরনো রেকর্ড

করোনা: প্রতিদিনই ভাঙ্গছে পুরনো রেকর্ড

২৪ ঘন্টায় ২৪ মৃত্যু

মৃত্যু ৪শ ছাড়ালো: আক্রান্ত সাড়ে ২৮ হাজার

একদিনেই পরীক্ষা ১০ হাজার ছাড়ালো

আজও মারা গেলেন ২১ জন

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3