দেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৮ | আপডেটেড ২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৮

adis-mosquito

বাংলাদেশের ১৯৬৪ সালে প্রথম ঢাকায় সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গু। ২০২২ সালে ৬১ হাজার রোগীর মধ্যে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর দেশে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। গত ২২ বছরে দেশে আড়াই লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৫০ রোগী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ইসিডিসি বলছে, যেসব দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেসব দেশে রোগীর অনুপাতে মৃত্যু বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।

তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, বলিভিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে। এরপর মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তান, লাওস, কম্বোডিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভানুয়াতু, মালদ্বীপসহ শতাধিক দেশে। তবে আক্রান্ত রোগীদের অনুপাতে মৃত্যুর হার বাংলাদেশে বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগে প্রতি বছর ৪০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণ ও উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা রোগীকে সুস্থ করে তোলে এবং মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুকে রোগতত্ত্বের গুরুত্ব দেয় সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য থেকে জানা যায়।

দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য শয্যা বাড়ানো হচ্ছে, জরুরি চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও ওষুধও পর্যাপ্ত। যেসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে, সেসব স্থানে লোকবল পদায়ন করা হয়েছে।

সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণার কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেরিতে হাসপাতালে এলে ঝুঁকি বেশি হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে যেসব অভিযোগ দেয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3