ক্যান্সারাক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ তহবিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:১০ | আপডেটেড ৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১০

DMC

ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ একটি তহবিল গঠনের দাবি এসেছে এক অনুষ্ঠান থেকে।

শিশু ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে রোববার এক অনুষ্ঠানে এই দাবি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাসিরুদ্দিন।

তিনি বলেন, ক্যান্সারাক্রান্ত সন্তানের বাবা-মা নিঃস্ব হয়ে যান, অনেকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতেও পারেন না। তাই এসব শিশুদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দরকার।

“সরকারিভাবে যদি এসব ক্যান্সারাক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি স্পেশাল ফান্ড দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তাদের আরও বেশি সাপোর্ট দিতে পারি।”

ডা. নাসিরুদ্দিন বলেন, “শিশুদের ক্যান্সারাক্রান্ত হওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। যে বাবা-মা জানতে পারেন তার সন্তানের এরকম একটা অসুখ হয়েছে, সেই পরিবার কীসের ভেতর দিয়ে যায়, সেটা কেবল তারাই বুঝতে পারে আর কিছুটা পারি আমরা চিকিৎসকরা।

“অনেক বাবা-মা নিঃস্ব হয়ে যান, অনেকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতেও পারেন না। ব্যয়বহুল ওষুধগুলো দিতে পারি না, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও দিতে পারি না। তবুও আশ্বস্ত করতে চাই, আপনাদেরকে যেন উন্নত পরিবেশে চিকিৎসা দিতে পারি সে বিষয়ে সচেতন থাকব।”

অনুষ্ঠানটি আয়োজক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু বলেন, “একজন ক্যান্সারাক্রান্ত শিশুর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়, এর কিছুটা হয়ত আমরা দিতে পারি। কিন্তু বেশিরভাগই দিতে হয় পরিবারকে, যা বহন করতে গিয়ে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে যায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এই বিভাগে থোক বরাদ্দ বা অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে আরও ভালো সেবা দেওয়া যাবে।”

অধ্যাপক মোরশেদ বলেন, শিশুক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। যদি সচেতনতা থাকে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা হয় তাহলে শিশু ক্যান্সার ভালো হয়।

সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা যে সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকে, যে সমস্যার মধ্যে দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বাঙালি জাতির চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা দরকার।

শিশুদের জন্য এবং ক্যান্সারাক্রান্ত শিশুদের জন্য স্পেশালাইজড হাসপাতাল হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাহনূর ইসলাম, ইফফাত আরা শামসাদ প্রমুখ।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

স্বাস্থ্যের জন্য ‘গতানুগতিক বাজেট’

দেশে চাই ১৬০টি ক্যান্সার হাসপাতাল, আছে ১৯টি

বাড়ছে এনার্জি ড্রিংকের দাম

তামাক রপ্তানিতে উৎসাহ মুহিতের

বাজেটে স্বাস্থ্যের ‘স্বাস্থ্য’ ভালো হয়নি

সাড়ে ৯ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে

‘প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে স্বাস্থ্যসেবা’

বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে দেশের ওষুধ

ক্যান্সারাক্রান্ত উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে

বাজেট: স্বাস্থ্য খাতে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

স্বাস্থ্যখাত: বেতন আর নির্মাণেই ব্যয় হয়ে যায় বরাদ্দ

স্মার্টফোনে বাড়ছে বিষণ্নতা

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য

মশাবাহিত রোগ: ভয় নয়, চাই সতর্কতা

আমরা এলাম, কেন?

ভারতের নিপা বাংলাদেশের নিপার মতোই

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

জন্মনিয়ন্ত্রণে পুরুষের জন্য পিল

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

হাসপাতাল বর্জ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সিলেটে

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3