গর্ভধারণে ও গর্ভপাত রোধে সহায়তা করতে পারে ভিটামিন ডি
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ২০:১০ | আপডেটেড ৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১১
গর্ভপাতের পর নতুন করে গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে হবু মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি। এমনকি ঘটতে পারে আবারো গর্ভপাতের ঘটনা।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের গবেষকদের পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে এ তথ্য। তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানচেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এনডোক্রিনোলোজি সাময়িকীতে।
গবেষণায় বলা হয়, একবার গর্ভপাতের পর গর্ভধারণে আগ্রহী যেসব নারীর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে তাদেরই অন্যদের তুলনায় গর্ভধারণ ও জীবিত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি।
প্রধান গবেষক সুন্নি এল মামফোর্ড বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে।”
১২শ’ নারীর উপর পরিচালিত এ গবেষণায় গর্ভধারণের আগেই তাদের শরীরের ভিটামিন ডি’র মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। এরপর গর্ভাবস্থার আট সপ্তাহে তা আবারো পরীক্ষা করা হয়। প্রতি মিলিলিটার রক্তে ৩০ ন্যানোগ্রামের চেয়ে কম পরিমাণ ভিটামিন ডি কে অপর্যাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করেন গবেষকরা।
প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গর্ভধারণের আগেই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকা নারীদের চেয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকা নারীদের গর্ভধারণে ও জীবিত সন্তান জন্মদানের হার ছিলো যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ। আর গর্ভবতী নারীদের প্রতি মিলিলিটার রক্তে ১০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি বাড়ায় তাদের গর্ভপাতের ঝুঁকিও কমেছে ১২ শতাংশ। তবে গর্ভাবস্থার আটসপ্তাহে শরীরের ভিটামিন ডি’র পরিমাণের সঙ্গে গর্ভপাতের কোনো সম্পর্ক খূঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে গবেষকরা বলেন, গবেষণায় ভিটামিন ডি’র সাথে গর্ভধারণ বা গর্ভপাতের সম্পর্কর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর গর্ভপাতের ঝুঁকিতে থাকা নারীদেরকে ভিটামিড ডি প্রদানে তাদের গর্ভধারণের বা জীবিত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়বে কিনা সে বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
সূত্র: সায়েন্স ডেইলি
বিষয়: special2
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?