গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে মা কি বেশি অসুস্থ থাকেন?
ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ৩ জুন ২০১৮, ০০:০৬ | আপডেটেড ৩ জুন ২০১৮, ১২:০৬
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকেই নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে পার করতে হয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে গর্ভকালীন বিভিন্ন রোগের প্রভাব মায়ের ওপর গুরুতর হতে পারে।
ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার পরিচালিত এ গবেষণায় গর্ভস্থ সন্তানের লৈঙ্গিক পার্থক্যের সঙ্গে মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হয়। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রেন, বিহেভিওয়ার ও কমিউনিটি সাময়িকীতে।
গবেষণায় আমান্ডা মিচেল ও তার দল ৮০ জন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থার প্রথম ভাগ, মধ্যভাগ ও শেষ ভাগ পর্যালোচনা করেন। এসব হবু মাযেদের মধ্যে ৪৬ জনের গর্ভস্থ সন্তান ছিল ছেলে ও বাকি ৩৪ জনের ছিল মেয়ে।
গবেষণায় বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের সাইটোকিনস লেভেল পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাইটোকিনস হলো সংকেতদানকারী অনুজীব যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। অনেক সমসয় এদেরকে ইমার্জেন্সি অনুজীব বলা হয়, কারণ যে কোনো ধরণের অসুস্থতা মোকাবেলা করতে শরীর থেকে এটা বের হয়।
গবেষণায় একইসঙ্গে রক্তে ও পরীক্ষাগারে নেওয়া ব্যাকটেরিয়া উদ্ভাসিত নমুনায় সাইটোকিনস লেভেল পর্যালোচনা করা হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে হবু মায়ের আ্যাজমা ও অ্যালার্জির মতো কিছু কিছু অসুস্থতার লক্ষণ ও প্রদাহ গুরুতর হতে পারে।
গর্ভফুলে সেক্স হরমোন বা অন্যান্য হরমোনের উপস্থিতির কারণে প্রদাহের মাত্রা কম বেশি হতে পারে বলে প্রধান গবেষক মিচেল ধারণা করেছেন।
তবে সন্তান ছেলে না মেয়ে তার সঙ্গে মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির সম্পর্ক বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
বিষয়: প্রেগনেন্সি
নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?