দেশে চিকিৎসায় আস্থার অভাব?

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৪ মার্চ ২০১৯, ২২:০৩ | আপডেটেড ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৯:০৭

plane

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বড় বড় হাসপাতাল তৈরি হলেও দেশে চিকিৎসা সেবার উপর এখন আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ; যে কারণে সামর্থ্য থাকলে ছুটে যাচ্ছে বিদেশে।

এই আস্থাহীনতার মূল কারণ হিসেবে নাগরিকরা বলছেন, দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতমানের তো নয়ই, যতটুকু আছে তাতেও রোগীদের আস্থায় আনার মতো পরিবেশ নেই। পাশাপাশি রয়েছে দক্ষ চিকিৎসকের অভাব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় এই বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।

গত রোববার ভোরে অসুস্থবোধ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই মন্ত্রীকে। দিনভর জীবন সঙ্কটে ছিলেন তিনি। তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীর তিনটি ব্লকের একটি অপসারণ করা গেলেও বাকি দুটি রয়েই গেছে। বিদেশে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় চিকিৎসক। পরে ভারত থেকে আনা হয় প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠীকে। তার পরামর্শে সোমবার বিকালে ওবায়দুল কাদেরকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজোবেথ হাসপাতালে।

শুধু ওবায়দুল কাদেরই নয়, সামর্থ্য যাদের রয়েছে, তাদের চিকিৎসা নিতে বিদেশ পাড়ি জমাতে দেখা যায় অহরহ।

এ বিষয়ে স্থানয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ হেলথ নিউজকে বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসার পরিবেশ এখনও নেই।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি আছে তো ডাক্তার নেই। আর সবচেয়ে বড় বিষয় এত রোগী যে ভালো ডাক্তার থাকলেও এখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা কঠিন।”

এসব কারণেই মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছে বলেই মত তোফায়েল আহমেদের।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ১৯৯৫ সালে হার্ট অ্যাটাকের পর চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। তখন দেশে হদরোগের চিকিৎসা একবারেই ভালো ছিল না। কিন্তু এখন সময় একটু হলেও বদলেছে বলে দেশেই চিকিৎসা নেন তিনি।

হাফিজউদ্দিন হেলথ নিউজকে বলেন, “দেশে একের পর এক মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। যারা পড়াশোনা শেষে নতুন ডাক্তার হিসেবে যোগ দিচ্ছেন, তাদের মান নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে।”

তাই দেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে বেশিরভাগই আস্থা পায় না বলে মনে করেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি বলেন, “দেশে বেশ কিছু ভালো হাসপাতাল আছে। তবে সেখানেও এখন এত এত রোগী যে ডাক্তারের সিরিয়াল পেতেই এক-দুই মাস লেগে যায়।”

তোফায়েল ও হাফিজউদ্দিন দুজনই সরকারি হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দুর্ভোগ-বিড়ম্বনার কথা বলেন।

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নাগরিক সংগঠন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

বেসরকারি একটি বড় হাসপাতালে নিজের শাশুড়ির চিকিৎসার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি হেলথ নিউজকে বলেন, সেখানেও চিকিৎসকদের মধ্যে জবাবদিহিতা কম। কিভাবে রোগীর বিল বাড়ানো যায়, সে দিকেই যেন বেশি মনোযোগ। এসব হাসপাতাল থেকে রোগী ছাড়ানোও কঠিন।

কদিন আগে স্ত্রীকে ব্যাংককে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন বদিউল আলম। তিনি বলেন, “সেখানে অনেক বাংলাদেশি রোগীর সঙ্গে দেখা হয়। সবারই দেশে দুর্ভোগ-বিড়ম্বনা আর হয়রানির অভিজ্ঞতা। দেশের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থায় অসুস্থ। পুরো ব্যবস্থারই চিকিৎসা দরকার।”

দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন এই নাগরিকরা।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গু: আরো ১০ মৃত্যু

ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে ভাবছে সরকার

যে দুই কারণে প্রাণঘাতি হচ্ছে ডেঙ্গু

তাপদাহ ও দূষণে হৃদরোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ হাজার

ডেঙ্গুতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

মশা নিধনে ‘র‌্যাট’ নামছে

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ২০০

ডেঙ্গু মহামারীর পর্যায়ে যায়নি

কাজে ফিরছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা

শুকনো ফলের বাজার দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু: জামিন পেলেন ২ চিকিৎসক

চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

জটিল রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ল

হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ২০ হাজার ছাড়াল

দুদিন চেম্বার, অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখবেন গাইনি চিকিৎসকরা

ডিএনসিসির স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ হল

ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট নিতে হয় কখন?

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3