রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৯ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:১১ | আপডেটেড ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১১

chemotherapy-cancer

দ্রুত সময়ে রক্তাদাতার সন্ধান দিতে মোবাইল অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার এই অ্যাপের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রকীব আহমেদ বলেন, “আরও সহজভাবে রক্তদাতার সন্ধান দিতে বাঁধনের অঙ্গীকার ছিল একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম চালু করা। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালে ‘বাঁধন অ্যাপ’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

“অ্যাপটির টেকনিক্যাল পার্টনার স্টাইলজওয়ার্ল্ড এবং এর সঙ্গে জড়িত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অ্যাপটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে গুগল পে-স্টোরে এটি যুক্ত হয়েছে এবং শিগগিরই আইওএস অ্যাপল স্টোরেও যুক্ত হবে।”

প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁধন অ্যাপে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রায় ৬০ হাজার রক্তদাতার তথ্য ইনপুট দেওয়া হয়েছে বলে জানান রকীব আহমেদ।

“প্রতি বছরে বাঁধনের কার্যক্রম আছে এমন ইউনিটগুলোর নবীন ছাত্রদের মধ্য থেকে নতুন রক্তদাতা এই অ্যাপে যুক্ত হতে থাকবে। এছাড়া রক্তদাতা অনুসন্ধান করতে যারা রেজিস্ট্রেশন করবে তারাও চাইলে রক্তদাতা হিসেবে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এভাবে নতুন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রক্তদাতার সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

“রক্তদাতার তথ্যের পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলার ২ হাজার হাসপাতালকে অ্যাপের ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অ্যাপের সার্টিং অ্যালগরিদম এমনভাবে করা হয়েছে যে, কম সময়ের মধ্যে রক্তদাতার সন্ধান পাওয়ার জন্য হাসপাতাল সমূহের জিওলোকেশন ও রক্তদাতার বর্তমান ঠিকানা বিবেচনায় নিয়ে রক্তদাতা অনুসন্ধান করবে। ফলে রোগীর চিকিৎসাধীন হাসপাতালের আশেপাশে অবস্থানকারীদের মধ্য থেকে রক্তদাতা সন্ধান করা যাবে; যা প্রচলিত সেবাদানকারী অন্যান্য অ্যাপ থেকে বাঁধন অ্যাপকে অনন্য করবে।”

অ্যাপের ব্যবহার

‘বাঁধন অ্যাপ’-এ রক্ত পেতে হলে প্লে-স্টোর/অ্যাপস্টোর থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করে প্রথমে কয়েকটি তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দুই ধরনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

কুইক রেজিস্ট্রেশন: রক্ত সন্ধানকারী নিজে রক্ত দেওয়ার উপযুক্ত নয় বা দিতে অনিচ্ছুক হলে কুইক রেজিস্ট্রেশন করে রক্তের সন্ধান করতে পারবে। তবে পরবর্তীতে রক্ত দিতে চাইলে কিছু অতিরিক্ত তথ্য আপডেট করে নিজেকে রক্তদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

পূর্ণাঙ্গ রেজিস্ট্রেশন: এক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানাসহ আরও দুই-তিনটি তথ্য যুক্ত করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে একজন রক্তদাতা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং রক্তদাতা অনুসন্ধানে বিবেচনায় আসবেন।

রক্তদাতা অনুসন্ধানে রক্তগ্রহীতা/সন্ধানকারী প্রথমে বাঁধন অ্যাপে লগইন করে প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপ ও হাসপাতালের তথ্য দেওয়ার পর অ্যাপ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঁচ জন রক্তদাতার তথ্য সরবরাহ করা হবে। প্রদর্শিত হওয়া নম্বরে কল করার পর যদি কাঙ্ক্ষিত  রক্তদাতা পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে পুনরায় আরও পাঁচজনের তথ্য চলে আসবে।

এভাবে রক্তগ্রহীতা/সন্ধানকারী একবারে সর্বোচ্চ ২৫ জনের তথ্য পর্যায়ক্রমে পাবে। এতেও যদি প্রয়োজনীয় রক্তদাতার সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে হাসপাতালের ঠিকানা অনুসারে পার্শ্ববর্তী বাঁধন ইউনিটে চাহিদাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হস্তান্তর করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিট তার অ্যাপ বহির্ভূত ডোনার লিস্ট থেকে রক্ত সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে।

রক্তদাতাকে বুকিং

অ্যাপটিতে রক্তদাতাকে বুকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। কেউ চাইলে জরুরি প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাত দিন পূর্বে রক্তদাতাকে বুকিং করতে পারবে। ওই তারিখ শেষ হওয়ার পর সেই রক্তদাতা আবার উপযুক্ত রক্তদাতার তালিকায় চলে আসবে এবং অনুসন্ধানের আওতায় আসবে।

একবার রক্ত দেওয়ার পর ১২০ দিন পার হয়নি- এমন রক্তদাতাদের বারবার কল করা থেকে বিরত রাখতে অ্যাপে বিশেষ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। রক্তদাতা/রক্তগ্রহীতা/সন্ধানকারী পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রক্তদান সম্পর্কিত তথ্য হালনাগাদের জন্য অনিবার্য নোটিফিকেশন পূরণ করলে রক্তদানের তথ্য হালনাগাদ হবে এবং রক্তদানকারী বারবার কল পাওয়া থেকে রেহাই পাবে।

অসুস্থতা ও জরুরি প্রয়োজনে একজন রক্তদাতা নিজেকে রক্তদানের লিস্ট থেকে সাময়িক বা স্বায়ীভাবে অবমুক্ত করতে পারবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজেকে রক্তদাতার তালিকা থেকে বিরত রাখাও যাবে।

বাঁধন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রকীব বলেন, “আমরা আশা করি এই অ্যাপে মানুষ খুব সহজে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।”

‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ মন্ত্রে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরের লক্ষে ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল থেকে যাত্রা শুরু করে বাঁধন। গত ২৬ বছরে ৫৪ জেলার ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কুরবান আলী, মো. তাজুল ইসলাম, বাঁধনের সভাপতি ফাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন আলী ‍উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য-শিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৬৩৮, মৃত্যু ১৩ জনের

ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৮ জনের মৃত্যু

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3