ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের সব হিসাব ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৮ | আপডেটেড ৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৮

dengue

বাংলাদেশে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপে মৃত্যুর সংখ্যা আগের ইতিহাস ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়ে এডিস মশাবাহিত এই রোগে, তাদের যোগ করে এ বছর এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৩।

দেশে এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে এক বছরে সর্বাধিক ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ৪৪, ৫৮, ১০, ১৩, ৪ এবং ১১ জন মারা যান ডেঙ্গুতে।

২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে।

এরপর ২০১১ সালে ৬ জন, ২০১২ সালে ১ জন, ২০১৩ সালে দুজন মারা যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। ২০১৪ সালে আবার কারও মৃত্যু হিসাবে নেই।

২০১৫ সালে ৬ জন, ২০১৬ সালে ১৪ জন, ২০১৭ সালে ৮ জন, ২০১৮ সালে ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় এডিসবাহিত এই রোগ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসীতে সচেতন করতে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের শোভাযাত্রায় অশংগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড

|২০১৯ সালে সারাদেশে রেকর্ড ১ লাখ ১ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।

এরপর ২০২০ সালে ৭ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন এবং ২০২২ সালে ২৮১ জনের মারা যান ডেঙ্গুতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৮৯ জন রোগী।

এ নিয়ে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৭১৬ জনে।

বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ সাল এবং ২০২২ সালে এর চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

গত একদিনে যত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের ১৪৮৮ জনই ঢাকার বাইরের। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১১০১ জন রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ২১০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৫৬০ জন।

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী। জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হলেও জুলাই মাসে প্রাণ যায় ২০৪ জনের।

আর অগাস্টের প্রথম তিন দিনে ৭ হাজার ৮৮৪ জন রোগী ভর্তি হয় হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।

এছাড়া জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজন এবং জুনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য-শিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৬৩৮, মৃত্যু ১৩ জনের

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3