‘দেশে উৎপাদিত দুধে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৩১ জুলাই ২০১৯, ২০:০৭ | আপডেটেড ৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:০৮

all-milk

ভারতের একটি গবেষণাগারে পরীক্ষা করে বাংলাদেশে উৎপাদিত দুধে স্বাস্থ্যঝুঁকির কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এসজিএস ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশের দুধের নমুনা পরীক্ষার এ তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটা, প্রাণ, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগুলু, আরডি ও সাভার ডেইরির পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধ হিসেবে দুটি করে মোট ১৬টি নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ১৬ জুলাই পাঠানো হয়েছিল চেন্নাইয়ের এসজিএস পরীক্ষাগারে।

“বিশ্লেষণ ফলাফলে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু যেমন লেড, সালফা ড্রাগ ও ক্রোমিয়ামের রিসিডিল বা অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি।”

বাংলাদেশে উৎপাদিত দুধের নমুনা নিয়ে এসজিএসের গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিট।

সংবাদ সম্মেলনে বিএআরসির পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলাম গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে বলেন, “পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু ও সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি।

“দেশীয় উৎপাদিত দুধে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। এ নিয়ে উদ্বেগ বা কোনো উৎকণ্ঠা নেই।”

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চেন্নাইয়ে পরীক্ষায় শুধু রাষ্ট্রায়াত্ত সমবায় প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা নমুনায় স্ট্রেপটোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তা ছিল প্রতি কেজিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে, যা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার অনেক নিচে (সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা ২০০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি)।

রাজ্জাক বলেন, এছাড়া প্রাণের একটি নমুনায় ক্লোরামফেনিকলের উপস্থিতি প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক শূন্য ছয় মাইক্রোগ্রাম পাওয়া গেছে।

“দুধের ক্ষেত্রে এটির কোনো নির্ধারিত মাত্রা পাওয়া যায়নি, তবে কারও কারও মতে শূন্য দশমিক এক পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।”

বাংলাদেশের বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়েরিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশ’র (আইসিডিডিআর,বি) গবেষণার ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

ওই গবেষণায় বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল রয়েছে; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাজারে থাকা সাতটি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন তারা।

এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাই কোর্টে রিট আবেদন হলে আদালত বাংলাদেশের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই অনুমোদিত ১৪ কোম্পানির সবগুলোকেই ৫ সপ্তাহ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়।

তবে আপিল বিভাগে আবেদন করে মিল্ক ভিটাসহ অন্য কোম্পানি তাদের দুধ বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছে।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য-শিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৬৩৮, মৃত্যু ১৩ জনের

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3