বাসাবাড়িতে ছিটানো হবে লার্ভিসাইড বিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:০৮ | আপডেটেড ৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৮

mosha1

ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে বাসাবাড়ির বেইজমেন্টেও নতুন কীটনাশক (লার্ভিসাইড) বিটিআই ছিটানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম

কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলার মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এই ওষুধ ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি। সোমবার থেকেই এ জৈব কীটনাশক মাঠ পর্যায়ে ছিটানোর কাজ শুরু হয়েছে।

এই কীটনাশকের পুরো নাম ব্যাসিলাস থুরিংয়েইনসিস ইসরায়েলেনসিস। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি ব্যাকটেরিয়া, যা মাটিতে পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালে ইসরায়েলের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে প্রথম এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়।

বনানীর ৪৭ নম্বর সড়কের পাশে গুলশান লেকে বিটিআই ছিটানোর মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মশা নিয়ে জরিপে তথ্য অনুযায়ী যত লার্ভা পাওয়া যায় তার ৪৩ শতাংশই মেলে বাড়ির বেইজমেন্টে। এজন্য এসব জায়গায় বিটিআই প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি।

এ কাজে নগরবাসীর সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, “বেইজমেন্ট আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বেইজমেন্টে ওষুধ দেওয়া আমাদের কথা না। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা দেব। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন আমরা যেন বেইজমেন্টে গিয়ে বিটিআই দিয়ে আসতে পারি।”

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দেশে এ ধরনের জৈব কীটনাশক বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশেও এটা চালু করা যায় কি না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

“এটা যদি ফার্মেসিতে অ্যাভেইলেবল হয়, তাহলে যে কেউ এটা কিনে ব্যবহার করতে পারবে। আমি অনুরোধ করব যারা এ ধরনের ব্যবসা করতে চান তারা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। সিটি করপোরেশন তো ব্যবসা করবে না।”

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “এটা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত ৪০ বছর ধরে ঢাকায় মশার লার্ভা ধংসে টেমিফস ওষুধ ব্যবহার করা হত। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত পাশের দেশ ভারতেও বিটিআই ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশেও কীটতত্ত্ববিদসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর বিটিআই ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“তারা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন বিটিআই আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। অনেক প্রক্রিয়া শেষে বিটিআই আনা হয়েছে। আজ এটার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।”

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বিটিআই প্রয়োগের সুফল পেতে সঠিকভাবে পরিমাপ করাটা জরুরি। এজন্য আগামী পাঁচদিন এ বিষয়ে ডিএনসিসির কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছিটানো হবে ওই জৈব কীটনাশক।

“এর মিশ্রণ তৈরির একটা মাপ আছে, দশ লিটার পানিতে ৩টা প্যাকেট অর্থাৎ ৭৫ গ্রাম বিটিআই দিতে হবে। এক গ্রাম বিটিআই ছিটাতে হবে এক স্কয়ার মিটার এলাকায়। ৭৫ গ্রাম ওষুধ ৭৫ স্কয়ার মিটার জায়গায় দিতে হবে, এটা নিশ্চিত করাই মূল বিষয়। এই অংকটা শেখা, ৭৫ মিটার জায়গার জন্য কয়টা স্টেপ দিতে হবে জানা জরুরি। এসব বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

চমেক হাসপাতালে নতুন পরিচালক

হালিশহরের জন্ডিস কোন পানি থেকে- উত্তর মেলেনি

বুরুজবাগান হাসপাতালে সমস্যার শেষ নেই

রামেক: যেখানে সেবায় সন্তুষ্ট রোগীরা

উদ্বোধনের পরও ঝুলে আছে খুলনা মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিট

যোগ দিবসে যোগ সাধনায় হাজারো মুখ

পালিত হচ্ছে যোগ দিবস

একটি সিগারেটে এত ক্ষতি!

মশা বাহিত রোগ: ভয় নয়, চাই সতর্কতা

ঈদের ছুটিতেও হাসপাতাল থাকবে সচল

আনন্দের ঈদ যেন নিরানন্দের না হয়

উৎসবের রঙ হোক কাঁচা মেহেদিতে

যোগ দিবসের প্রস্তুতি ভারতীয় হাই কমিশনের

১৮ জুন খোলা থাকবে বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ

স্বাস্থ্যের জন্য ‘গতানুগতিক বাজেট’

বাড়ছে এনার্জি ড্রিংকের দাম

তামাক রপ্তানিতে উৎসাহ মুহিতের

বাজেটে স্বাস্থ্যের ‘স্বাস্থ্য’ ভালো হয়নি

সাড়ে ৯ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে

‘প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে স্বাস্থ্যসেবা’

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3