জানায় যত ভুল
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ…
তথ্যটি ভুল। কারণ ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি আর ক্যান্ডি জাতীয় খাবারে থাকা চিনি মূলত একই। তাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপের পরিবর্তে মধু দিয়ে বানানো হলেও গ্রানোলা বার তেমন একটা স্বাস্থ্য সম্মত…
তথ্যটি ভুল। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের কয়েকজন গবেষক ও এক চিকিৎসক জানান, দুগ্ধজাত খাবার খেলে শ্লেষ্মা বাড়ে বলে যে ধারণা ছিলো তা আসলে ভুল। বরং গলা ব্যথা হলে হিমায়িত দুগ্ধজাত খাবার…
স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু
আঙুর কেন খাবেন?
ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সব টিপস...
চকলেটে ব্রণ হয়?
এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন...
ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?
যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কনক কান্তি
নিউরোসার্জারি বিষয়ক চিকিৎসা সেবা, গবেষণা ও শিক্ষকতায় অবদান রাখায় ‘বিএমএএনএ…
করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্বে আক্রান্ত ১৬ লাখ ছাড়াল, মৃত্যু লাখ ছুঁই ছুঁই
৩১ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় করোনা মিটারে সারাবিশ্বের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৫ জন।
প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর এপ্রিলের দ্বিতীয় দিন বেলা আড়াইটায় এই সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫১৫শ জন পার হয়। সরল অংকের হিসেবে বিয়োগফল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটার বলছে, গত ৪৮ ঘন্টায় বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। এর অর্থ প্রতি ঘন্টায় পৃথিবীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি।
এ সময়ে মৃত্যু মৃত্যু ৪০ হাজার ৭৩৫ থেকে ৪৭ হাজার ৫১৪ জনে ঠেকেছে। যার অর্থ ৪৮ ঘন্টায় মানুষ মরেছে ৩ হাজারের বেশি। আক্রান্ত ও মৃত্যুর কাটা অনবরত ঘুরছেই। অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫০২ জনও।
বিশ্বের সবদেশকে ছাপিয়ে আক্রান্তের তালিকায় এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এ মুহুর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি। পরাক্রমশালী এ দেশটি কমপক্ষে ৫ হাজার ১১২ জনের মৃত্যু ঠেকাতে পারেনি।
করোনা ভাইরাস কতটা করুনাহীন তা কফিনের লম্বা সারি বেঁধে টের পাচ্ছে ইউরোপও। প্রাচীন সভ্যতার ধারক এ মহাদেশের ইতালিতে মারা গেছে সবচেয়ে বেশি মোট ১৩ হাজার ১৫৫।
এরপরই রয়েছে স্পেন যার মৃত মানুষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৭ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ২৩৫২, ফ্রান্সে ৪ হাজার ৩২ ও ইরানে ৩ হাজার ৩৬ জন মারা গেছেন। ইউরোপের দেশ জার্মানীতে ৯৩১ ও সুইজারল্যান্ডে ৪৮৮ জন মারা গেছেন।
এদিকে, সবশেষ হিসেবে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০জনসহ সারাবিশ্বে কমপক্ষে ৭০ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৪১ জন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ এক ভাষণে এর ভয়াবহতা স্বীকার করে বলেছেন, আগামী ২ সপ্তাহে মৃত্যুর রেকর্ড সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে যেতে পারে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যর এক চিকিৎসক ও গবেষক বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
ফলে সব হিসেব, সব আন্দাজ, সব আহবান উপেক্ষা করেই দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এবং কদিন আগের চেয়ে অবিশ্বাস্য ও দ্রুতগতিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারো বলেছে, করোনা থেকে বাঁচতে সহজ কোনো পথ খোলা নেই।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২০০টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক চীনের বাইরে করোনা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১১ মার্চ পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।







