ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ হল

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ১৫ জুলাই ২০২৩, ২১:০৭ | আপডেটেড ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৭

dengue

দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত জনের মৃত্যু হয়েছেনিয়ে বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে ১০০ জনের মৃত্যু হল

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রেকর্ড ওই সাতজনের মৃত্যু হয়।

এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৬২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর এই সংখ্যাও একদিনে সর্বাধিক।

তবে শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীর সব তথ্য জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্রবারের ভর্তি রোগীর তথ্য সমন্বয় করে শনিবার জানানোয় রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন মুগদা হাসপাতালে দুজন, মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন, ঢাকার আইচি হাসপাতালে একজন, চট্টগ্রামে একজন এবং যশোরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯, ২০২১ ও ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছিল। ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে ১০৫ জন এবং ২০২২ সালে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

গত একদিনে ভর্তি রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৪৫৪ জনে। এর মধ্যে কেবল জুলাই ১৫ দিনেই ভর্তি হলো ১১ হাজার ৪৭৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে ১৬২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১১৬৯ জন ঢাকায় এবং ৪৫৫ জন ঢাকার বাইরের।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৯৪৭ জন রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ৩২৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭০৯ জন।

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। জুলাইয়ের প্রথম ১২দিনেই সেই সংখ্যা পেরিয়ে গেছে। জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে ৯৪০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।

বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের বরাতে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিতে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুকি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।

এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৭ হাজার ছাড়াল

সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা ৫০ টাকায়

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছেই

লিটারে ১০ টাকা কমল ভোজ্যতেলের দাম

ডেঙ্গু: এক দিনে রোগী ভর্তি হাজার ছাড়াল

এডিস মশার লার্ভা: সরকারি চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছেই

দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি

হাসপাতালে ভর্তি ১২ হাজার ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ঢাকাবাসী

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ডিএনসিসির কর্মীদের ছুটি বাতিল

ডায়াবেটিসে মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ হবে: গবেষণা

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর দায় হাসপাতালের: সংযুক্তা সাহা

নবজাতকের পর মায়েরও মৃত্যু

সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব অস্ত্রোপচার বন্ধ

নবজাতকের মৃত্যু: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ২ চিকিৎসক কারাগারে

ডেঙ্গুর মারাত্মক ঝুঁকিতে কক্সবাজার

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

বলিউডের শীর্ষ ৭ নিরামিষভোজী নারী

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3