যে দুই কারণে প্রাণঘাতি হচ্ছে ডেঙ্গু

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৩১ জুলাই ২০২৩, ২২:০৭ | আপডেটেড ৩১ জুলাই ২০২৩, ১০:০৭

dengue

ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান দুটি কারণ হিসেবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম সবচেয়ে বেশি দায়ী। এমন অভিমত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির মতে ডেঙ্গুকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সতর্ক সংকেতহীন বা স্বাভাবিক ডেঙ্গু, সংকেতসহ মাধ্যমিক পর্যায়ের ডেঙ্গু এবং মারাত্মক বা সিভিয়ার ডেঙ্গু। অবশ্য এর মধ্যে সিভিয়ার পর্যায়ের ডেঙ্গুতে রক্ত বমি বা মুখ, দাঁতের মাড়ি, নাক-কান বা মলদ্বারসহ যেকোনো অঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। কমে যায় রক্তের প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা।আর এটিকেই ভাবা হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিসেবেই।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে কারো কারো সাধারণ উপসর্গ থাকে আবার কারো থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগটি ভালো হয়ে যায়। মারাত্মক বা সিভিয়ার ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো জটিল আকার ধারণ করে। তখন রক্তচাপ কমে যায়, গুরুতর পেটে ব্যথা, অবিরাম বমি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত, বমি বা মলে রক্ত, ক্লান্তি, অস্থিরতা, খুব তৃষ্ণার্ত ও ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর সঙ্গে শরীরের একাধিক অঙ্গ একপ্রকার অকার্যকর হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে সময়মতো প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা নেয়া হলে রোগীকে সুস্থ করা যায়।

রোগতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, মানবদেহে দেড় লাখ থেকে চার লাখ প্লাটিলেট থাকে। এটি রক্তকে জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এর সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে নামলে স্বাভাবিক জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। এসব রোগীর ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে পড়ার ঝুঁকি বেশি।

সোমাবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু আড়াইশ ছাড়িয়ে গেল। এ বছর মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়াল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে বেশি রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে। শক সিনড্রোম ছাড়াও ডেঙ্গু হেমোরেজিকে মৃত্যু কম নয়। এর পরও গুরুত্ব পাচ্ছে না মারাত্মক ডেঙ্গু।

দেশে স্বাস্থ্য কাঠামোয় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত বিশেষায়িত সেবা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, সরকারি হাসপাতালগুলোয় সাধারণত বেলা ২টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন। ভর্তি রোগীদের জন্য আবাসিক চিকিৎসক থাকেন। দুপুরের পর সংকটাপন্ন কেউ এলে তাকে বিশেষায়িত চিকিৎসা দেয়া কঠিন। জুনিয়র মেডিকেল অফিসার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক বিশেষায়িত চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত নন। ডেঙ্গু হেমোরেজিক রোগীর ক্ষেত্রেও তাই।

রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা দিতে হয়। রোগীর স্বজনরা অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত প্লাটিলেট সংগ্রহ করতে পারেন না। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ভালো ব্যবস্থা নেই। এমনকি এসব অঞ্চলে রাতে বেশির ভাগ ওষুধের দোকানও বন্ধ থাকে। রাতে রোগীকে হাসপাতালে নেয়া হলেও সঠিক চিকিৎসা না মেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গুর জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও ডেঙ্গুর গাইডলাইনে রোগটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক গাইডলাইনেও এ, বি ও সি এভাবে তিন পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এ পর্যায়ে রয়েছে যেসব ব্যক্তি ডেঙ্গু পজিটিভ, বি পর্যায়ে ডেঙ্গু পজিটিভ তবে ঝুঁকিতে রয়েছে যেমন শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী ও বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত। আর যারা সি পর্যায়ে, তারা মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে।

আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, ডেঙ্গু পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। যেসব রোগীর বাড়িতে ভালো ব্যবস্থাপনা নেই তাদেরকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ফিল্ড হাসপাতাল করা যেতে পারে। যারা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালে রাখতে হবে। আর যেসব রোগীর অবস্থা মারাত্মক, তাদের দ্রুত টারশিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতালে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে এ পর্যায়ের হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এ রোগতত্ত্ববিদের মতে, ‘‌ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা গতানুগতিক থাকছে।ফলে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ক্রমেই বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে।’

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা

ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু

বিষাক্ত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন দিল্লি

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই

টেকনাফে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৫১২ রোগী

গ্যাসের ওষুধের এত বিক্রি! কেন?

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

রক্তদাতার সন্ধান মিলবে অ্যাপে

স্বাস্থ্যখাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেঙ্গু: ১৮৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৯৪ জন

ডিম-আলুর দামে পতন

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১৪০০ ছাড়াল

সুস্থ আছে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু ‘দানিয়া’

স্বাস্থ্য-শিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৬৩৮, মৃত্যু ১৩ জনের

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3