ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন নিজেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ৩১ মে ২০১৮, ১৬:০৫ | আপডেটেড ২ জুন ২০১৮, ০৩:০৬

IMG_7134

রোজার এক মাসে অনেকেই পরিকল্পনা করেন, ঝরিয়ে ফেলবেন মেদ; কিন্তু রোজা শেষে ওজন মেপে দেখা যায় ঠিক এর উল্টো চিত্র। অর্থাৎ ওজন কমেনি, বরং বেড়েছে ঢের।

এরকমটা কেন হয়? এর জবাবে বারডেম হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ হেলথ নিউজকে বলেন, বিপত্তিটা এখানেই। তাদের চিন্তা থাকে যেহেতু ১৫/১৬ ঘণ্টার রোজায় একটানা পেট খালি থাকছে তাই ওজন কমানো সহজ হবে।

“কিন্তু রোজা শেষে বেশি ওজন এবং বিভিন্ন অসুখে ভোগা অনেক রোগী পাই আমরা। কারণ এই এক মাসে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হন তারা।”

পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে এক ইফতারিতেই তেলেভাজা খাবার, বেশি ক্যালরির খাবার খেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ হেলথ নিউজকে বলেন, একজন রোজাদার রোজার মাসে তিন বেলার খাবারে কী খাবেন তা নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের উপর।

“তবে ইফতারে অনেক বেশি খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। তেলজাতীয় যে কোনো খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ইফতারের ফলমূল, দই-চিড়া, সবজি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে।”

রাতের খাবার হবে অল্প ভাত, বেশি করে সবজি, মাছ। সেহেরিতে খুব ভারী খাবার খাওয়া ঠিক না। অল্প ভাত, সবজি এবং শেষে এক গ্লাস দুধ হতে পারে আদর্শ খাবার।

পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ জানান, তেলে ভাজা খাবার ও মিষ্টি খাবার এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চললে ওজন বাড়বে না।

“একজন মানুষের প্রতিদিন কত ক্যালরি দরকার, তা নির্ধারিত হয় তার বয়স, ওজন, উচ্চতা, পরিশ্রমের ধরন অনুসারে। খুব সহজ কথায় বললে স্বাভাবিক কর্মক্ষম একজন মানুষের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রয়োজন ৩০ ক্যালরি। অর্থাৎ কারও ওজন যদি হয় ৬০ কেজি, তার প্রয়োজন হবে এক হাজার ৮০০ ক্যালরি।”

তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে খেতে হবে হিসাব করে। শরীরও থাকবে সুস্থ।

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3