কাজে ফিরছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, হেলথ নিউজ | ২০ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৭ | আপডেটেড ২০ জুলাই ২০২৩, ১০:০৭

16-07-23-Post_Graduate_Private_Trainee_Physician_Shahbag-5

ভাতা হাজার টাকা বাড়িয়ে তা মাসিক ভিত্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পর প্রথমে আপত্তি জানালেও এখন সেই আশ্বাসেই কর্মস্থলে ফিরছেন আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা

আগামী শনিবার থেকেই তারা কাজে ফিরবেন বলে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসেন জানিয়েছেন।

টানা ১২ দিন ধরে আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার কথা জানান তিনি।

জাবির বলেন, “শনিবার থেকে আমরা কাজে ফিরছি। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে এবং আমাদের কিছু দাবিও আছে। একটি স্মারকলিপি ইউনিট প্রধানদের কাছে দেওয়া হবে।”

ভাতা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে গত মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক।

এরপর ৮ জুলাই থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন এবং ৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেন। ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়ে আসেন চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।

কিন্তু এরপরও দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে ১৬ জুলাই শাহবাগে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর বিএসএমএমইউ উপাচার্যের আশ্বাসে তারা শাহবাগ ছাড়েন।

সেদিন আন্দোলন চলার মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আসে জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির বৃহস্পতিবার বলেন, “১৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির পরে ১৭ই জুলাই বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন স্যার, বিএসএমএমইউ ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ স্যার, স্বাচিবের সভাপতি জামাল উদ্দিন স্যার, মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন স্যার এবং ডিজিএমই ডা. টিটু মিয়া স্যারের সাথে আমাদের প্রতিনিধি দলের মিটিং হয়েছে।

“সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৫ হাজার করা হবে এবং সেটা এই জুলাই মাস থেকেই। ভাতা প্রতি মাসে দেওয়া হবে এফসিপিএস ট্রেইনিদের। সাপ্তাহিক দুই কর্মদিবস ছুটি দেওয়া হবে এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। (সিন্ডিকেট মিটিং এ পাশের পর) আন্দোলনরত অবস্থায় একাডেমিক অনুপস্থিতির জন্য কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।”

সভায় জানুয়ারি থেকে আরেক ধাপ ভাতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জাবির।

তবে ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রথমে ‘সন্তুষ্ট ছিল না’ পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।

ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর জাবির বলেছিলেন, “২৫ হাজার টাকা আমরা মানি না। এই ২৫ হাজার টাকার জন্য আমরা আন্দোলন করিনি। এর আগে ২০২০ সালে সিন্ডিকেটের সভায় আমাদের ৩০ হাজার টাকা পাস হয়েছিল।”

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “স্যারদের এই প্রতিশ্রুতিগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। কারণ আমাদের জন্যে এই ২০ হাজারের সাথে আর ৫ হাজার যুক্ত হওয়া মানে, আমার বৃদ্ধ বাবা-মার ওষুধের খরচটা হলেও যুক্ত হওয়া, আমার বাচ্চার প্যাম্পার্সের খরচ, স্কুলের বেতনের খরচ আর আমার ধারদেনার পরিমাণ একটু হলেও কমা।

“আমাদের সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ট্রেইনি চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র স্যারদের এই কথার উপর ভরসা করে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে আবারও আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

কর্মস্থলে ফেরার কথা জানিয়ে জাবির বলেন, “আমরা সবাই আগামী শনিবার নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে, এই ফলাফলে আমরা সকলেই আশাহত, তার পরেও আমাদের আর কিছুই করার ছিল না।

“আমরা ৮ হাজার ট্রেইনি আমাদের অভিভাবক, আমাদের স্যারদের এই প্রতিশ্রুতিকে বিনাবাক্যে বিশ্বাস করে নিলাম।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এমবিবিএস পাশের পর দেড় থেকে দুই বছর কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে পড়ালেখা করে আজকে আমরা একেকজন এফসিপিএস রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট ট্রেইনি। এতটুকু আসতে আমাদেরকে বিসর্জন দিতে হয়েছে জীবনের ৩০ থেকে ৩৫টা বছর, কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি। এরপরেও মানুষের উন্নত সেবার জন্যেই এই উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আসা আমাদের।

“কিন্তু আমাদেরকে দেওয়া হয় মাত্র ২০ হাজার টাকা, যেখানে অন্যান্য দেশের রেসিডেন্টদের বেতন শুরুই হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। এই দুর্মূল্যের বাজারে মাত্র ২০ হাজার টাকায় সংসার চালানোর ক্ষমতা আমাদের আসলে কারো নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ছাড়া আসলে কেউ আন্দোলনে নামে না। আমাদের অবস্থাটাও হয়েছে তেমনই।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

ডেঙ্গু: আরো ১০ মৃত্যু

ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে ভাবছে সরকার

যে দুই কারণে প্রাণঘাতি হচ্ছে ডেঙ্গু

তাপদাহ ও দূষণে হৃদরোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ হাজার

ডেঙ্গুতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

মশা নিধনে ‘র‌্যাট’ নামছে

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ২০০

ডেঙ্গু মহামারীর পর্যায়ে যায়নি

শুকনো ফলের বাজার দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু: জামিন পেলেন ২ চিকিৎসক

চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

জটিল রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ল

হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ২০ হাজার ছাড়াল

দুদিন চেম্বার, অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখবেন গাইনি চিকিৎসকরা

ডিএনসিসির স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ হল

ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট নিতে হয় কখন?

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৫ স্থাপনায় মিলল মশার লার্ভা

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3