দিনে পানি পান কতটুকু?

ডেস্ক রিপোর্ট, হেলথ নিউজ | ৫ আগস্ট ২০১৮, ২২:০৮ | আপডেটেড ৫ আগস্ট ২০১৮, ১০:০৮

fresh-water

সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি পান করা উচিৎ- কথাটি আমরা শুনি অহরহ; কিন্তু তার পরিমাণ কতটা?

ডায়েটিশিয়ান, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরকে আর্দ্র রাখতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে দৈনিক আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান প্রয়োজন।

ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ পুজা মালহোত্রা বলেন, “জীবনের মূল ভিত্তি হলো পানি। মানবদেহের ৭০ শতাংশই পানি। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায়, শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা, হজম ও শোষণে সহায়তা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ ও ওজন কমাতে সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে পানি।

অপর্যাপ্ত পানি পান না হলে মুখের শুষ্কতা, মাথাব্যথা, শুষ্ক ত্বক, মাথা ঘোরা ও শারীরিক শক্তি কমে যেতে পারে ব সতর্ক করেন তিনি।

ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে মানবদেহ থেকে পানি বেরিয়ে যায়। তার ঘাটতি পূরণে দরকার পানি পান। তবে বিশেষজ্ঞরা দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পানের পরামর্শ দিলেও সব ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও শারীরিক চাহিদা এক নয়।

পানির পরিমাণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে একেক রকম হয়। প্রচুর পানি পান কারও কারও শরীর আর্দ্র রাখতে ও এনার্জি দিতে সহায়তা করলেও কাউকে কাইকে বারবার টয়লেটে যাওয়ার ঝামেলায় ফেলতে পারে।

তাই দিনে কতটুকু পানি খেতে হবে তা জানতে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। পিপাসা পেলেই পানি পান করতে হবে, পিপাসা মিটলে তা কমিয়ে দিতে হবে। আবার তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে ও অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে যে ঘাম হয় তা পুষিয়ে নিতে হবে পানি পান করে।

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট মনীষা অমোকান বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক তিন লিটার পানি পান করা উচিত। পেশি গঠনের জন্য পুরুষদের তুলনামূলকভাবে বেশি পানির প্রয়োজন হয়। পুরুষদের জন্য তিন লিটার ও নারীদের আড়াই লিটার পানি দরকার।

অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, তৃষ্ণা মেটাতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু পানি পান করতে হবে।

পানি পানে কি শক্তি বাড়ে?

বলা হয়, শরীরের আর্দ্রতা রক্ষায় ও মস্তিষ্কের যথাযথ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পানি পান অপরিহার্য। আমাদের শরীরের ওজনের ১ শতাংশ হলো পানি। তাই যখন আমরা শরীরচর্চা করি ও অনেক ঘেমে যাই তখন শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা কমে যায়।

পানি পানে কি ওজন কমে?

পানি পান করলে বিপাক হার বাড়ে ও ক্ষুধা কমে যায়। আধা লিটার পানি পান করলে বিপাক হার প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করলে কম পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণে সহায়তা করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে তা ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

স্বাস্থ্য সমস্যায় পানি

কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির পাথর ও ব্রণের মতো সমস্যা মোকাবিলা করতে পানির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনীষা বলেন, “কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বড় উপায় হল পানি। আর ত্বকের জন্যও পানি উপকারী। শরীরে অনেক টক্সিন থাকে। যত বেশি পানি খাওয়া হয় ততই এসব টক্সিন প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।”

বিষয়:

নোটিশ: স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব সংবাদ ও তথ্য দেওয়ার সাধারণ উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো এবং সচেতন করা। এটা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকে রাত জেগে মোবাইলের ব্যবহার নয়’

বলিউডের শীর্ষ ৭ নিরামিষভোজী নারী

ঘরে ঘরে জ্বর, চাই সাবধানতা

ইফতারে খাবেন টক দইয়ের যেসব খাবার

তামার পাত্রে রাখা পানি কেন ভাল?

খেতে পছন্দ সোনমের, তবে…

পেটের মেদ ঝরাতে ৫ খাবার

প্রিয়াংকার পছন্দ ঘরের খাবার

চকলেট খান না ‘মিস হট চকলেট’

কারিশমা যেভাবে এখনও আকর্ষণীয়

কফি বনাম চা

শরীরচর্চার সঠিক সময় কোনটি?

যোগ দিবসে যোগ সাধনায় হাজারো মুখ

যোগ ব্যায়াম কেন করবেন?

বেশি সময় টিভি দেখেন? সাবধান হোন এখনই

ঘরে জুতা নিয়ে ঢুকছেন তো বিপদ ডাকছেন

শরীরের ঘড়ি ধরে খাবার খাচ্ছেন তো?

ব্যায়াম করবেন তো নজর রাখুন যন্ত্রে

নিয়মিত হাঁটুন, সুস্থ থাকুন

বলিউডের শীর্ষ ৭ নিরামিষভোজী নারী

স্বাস্থ্য সেবায় যাত্রা শুরু

আঙুর কেন খাবেন?

ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সব টিপস...

চকলেটে ব্রণ হয়?

এই পরীক্ষাটি চালাতে গবেষকরা একদল ব্যক্তিকে এক মাস ধরে ক্যান্ডি বার খাওয়ায় যাতে চকলেটের পরিমাণ ছিল সাধারণ একটা চকলেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আরেক দলকে খাওয়ানো হয় নকল চকলেট বার। চকলেট খাওয়ানোর আগের ও পরের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো পার্থক্য তারা খুঁজে পাননি। ব্রণের ওপর চকলেট বা এতে থাকা চর্বির কোনো প্রভাব রয়েছে বলেও মনে হয়নি তাদের।

আরও পড়ুন...

      ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণে কী করণীয়?

300-250
promo3